নাজিম আক্তার, হরিশ্চন্দ্রপুর, আপনজন: বৃদ্ধ দম্পতির জরাজীর্ণ ঘর থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে রয়েছে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়ি।প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা তালিকায় চাকরিজীবী ও নেতা কর্মীদের নাম থাকলেও নাম নেই ওই বৃদ্ধ দম্পতির।কাটমানি দিতে পারেনি বলেই কি হয়নি ঘর?উঠছে প্রশ্ন। কাঠগড়ায় পঞ্চায়েত সদস্য।বাঁশের বেড়া দেওয়া জরাজীর্ণ কাচা ঘরেই কাটছে ওই বৃদ্ধ দম্পতির দিন। তবে কবে পাবে সরকারি বাড়ি সেই অপেক্ষায় রয়েছে তাঁরা।জানা গেছে ওই বৃদ্ধ দম্পতির নাম মহম্মদ হানিফ (৮৫) ও আসিমা বিবি (৭২)। বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের জনমদল গ্রামে।বাস্তুভিটা ছাড়া তাদের কিছুই নেই। হানিফবাবু ভাতা পেলেও স্ত্রী আসিমা বিবি র হয়নি ভাতা।রেশন থেকে যা চাল পায় তা দিয়ে চলে সংসার।অভাবের তাড়নায় তরিতরকারি জোগাড় করতে পারেন না।নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা।ফ্যান ভাত খেয়েই কাটছে তাদের দিন।কোনদিন অর্ধাহারে আবার কোনোদিন অনাহারে থাকতে হয় তাদের।ঘরের অবস্থা দেখলে মনে হবে পরিত্যক্ত কোনো বাড়ি।শীতকালে কনকনে শীতল বাতাস বেড়ার ফাঁকফোকর দিয়ে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে।বর্ষার সময় জল চুয়ে মেঝেতে জমে থাকে।সকাল হতেই সূর্যের আলো বাড়িতে উঁকি মারে।স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যকে বলেও হয়নি ঘরের ব্যবস্থা।
বৃদ্ধ হানিফবাবু জানান,সে ভাতা পেলেও তার বৃদ্ধা স্ত্রীর কপালে জুটেনি ভাতা।স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যকে বারবার জানিয়েও হয়নি কোন কাজ।রেশনের চাল দিয়ে কোনোরকম সংসার চলে।অগ্রীম কাটমানি দিতে দিতে পারেননি বলেই তার নাম প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা তালিকায় আসেনি বলে জানান।অপরদিকে বৃদ্ধা স্ত্রী আসিমা বিবি জানান,তারা তো একদিন মরেই যাবে তাদের আর ঘর নিয়ে কি হবে বলে পঞ্চায়েত সদস্য জানিয়েছেন। পঞ্চায়েত সদস্য একরামুল হক জানান,তিনি বৃদ্ধ হানিফের ভাতা করিয়ে দিয়েছেন,তার স্ত্রীর ভাতা করিয়ে দেওয়ার কোনো সুযোগ পাইনি তাই ভাতা করাতে পারেননি।জিও ট্যাকিং এর সময় সে বাড়িতে ছিলেন না তাই তার কাগজপত্র জমা নিতে পারেননি।পুনরায় কাগজপত্র জমা নিয়ে ব্লকে জমা করেছেন। এখন সবকিছু প্রশাসনিক আধিকারিকদের হাতে রয়েছে। পঞ্চায়েত প্রধান পুষ্প রবি দাসের স্বামী সদানন্দ রবি দাস জানান,ব্লক প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে বৃদ্ধা আসিমা বিবির ভাতা করিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct