নিজস্ব প্রতিবেদক, মেমারি, আপনজন: মাধ্যমিকের ন্যায় উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফলেও সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখেছে মামূন ন্যাশনাল স্কুল। আজ বুধবার প্রকাশিত উচ্চমাধ্যমিক ২০২৫-এর ফলাফলে এই প্রতিষ্ঠানের ছাত্রী আফসানা আক্তার সর্বোচ্চ নাম্বার পেয়েছে। তার প্রাপ্ত নাম্বার ৪৮৩ (৯৬.৬%) । সারা রাজ্যে চার লাখ ৭৪ হাজার পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৫ তম স্থান অধিকার করেছে আফসানা।ছাত্রীর বাড়ি বীরভূম জেলার ইলামবাজার থানার অন্তর্গত শোলা গ্রামে। তাঁর পিতা আতিকুর রহমান পেশায় একজন কৃষক। তার মেয়ে এই প্রতিষ্ঠানে পঞ্চম শ্রেণীতে ২০১৭ সালে ভর্তি হয়।
এই প্রতিষ্ঠান থেকেই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নম্বার পেয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলার সুতি থানার বালিয়াঘাটি গ্রামের নাহিদা পারভিন। তার প্রাপ্ত মোট নাম্বার ৪৭৮ (৯৫.৬%) । রাজ্যে তার স্থান ২০ তম। তার পিতা জাকির হাসান একজন বাস চালক।
বীরভূম জেলার অন্তর্গত বোলপুর রবীন্দ্রবীথি পল্লীনিবাসী সুহানা ফারহাত প্রতিষ্ঠানের নাম উজ্জ্বল করেছে। তার মোট প্রাপ্ত নাম্বার ৪৭৭ (৯৫.৪%) । মেধাতালিকায় সে সম্ভাব্য ২১ তম স্থানে রয়েছে।
এবারে মোট ১৫৬ জন ছাত্রছাত্রী উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়েছিল এবং প্রত্যেককেই সফল হবে উত্তীর্ণ হয়েছে।
৯৫ শতাংশ এবং তার ওপরে নম্বর পেয়েছে ৫ জন ছাত্রছাত্রী।
৯০ শতাংশ ও তার ওপরে নাম্বার পেয়েছে ২৭ জন, ৮৫ শতাংশ ও তার উপরে নাম্বার পেয়েছে ৬৯ জন, ৮০ শতাংশ এবং তার ওপরে নাম্বার পেয়েছে ১৩৭ জন। উল্লেখযোগ্যভাবে প্রতিষ্ঠানের ১৫৬ জন ছাত্রছাত্রীর মধ্যে ১৫৫ জনই ৭৫ শতাংশ এবং তার উপরে অর্থাৎ স্টার মার্কস পেয়ে প্রতিষ্ঠানের সুনাম বজায় রেখেছে।
বিদ্যালয়ের সার্বিক এই সাফল্য প্রশংসার দাবি রাখে। কৃতি ছাত্র-ছাত্রী ও সম্মানিত সকল শিক্ষক-শিক্ষিকাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট শিল্পপতি সমাজসেবী দানবীর মোস্তাক হোসেন সাহেব। তাঁর সংস্থা জি.ডি. চ্যারিটেবল সোসাইটির আর্থিক সহায়তায় এবং জিডি মেরিট স্কলারশিপ ছাড়া এই প্রতিষ্ঠানের উন্নতি সম্ভব ছিল না। একথা জানান সম্পাদক কাজী মুহাম্মদ ইয়াসিন।
মামূন ন্যাশনাল স্কুলের গৌরবময় অতীত, বর্ণময় বর্তমান ও সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের আঙ্গিকে উচ্চমাধ্যমিকের এই সার্বিক ফলাফলে প্রতিষ্ঠানের সম্পাদক কাজী মুহাম্মদ ইয়াসিন ও সফল ছাত্র-ছাত্রীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করেন এবং শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষা কর্মী এবং শুভানুধ্যায়ী সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জ্ঞাপন করেছেন।
বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ তথা বক্তা সম্রাট মরহুম গোলাম আহমাদ মোর্তজা সাহেব ছিলেন এই প্রতিষ্ঠানগুলির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রাণপুরুষ। এখানে বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যমের শাখা রয়েছে। এই শাখা গুলিতে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার প্রায় দেড় হাজার বা তার অধিক ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করছে। সম্পাদক জানান জিডি একাডেমী এবং জিডি মনিটরিং কমিটির গাইডেন্সের ফলেই আমরা উৎসাহিত হই এবং সঠিক দিশা পেতে সাহায্য করে তাঁদের পরামর্শ।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct