সাবের আলি , বড়ঞা, আপনজন: থানার বড়বাবু নিজে হাতে বিশ্রামাগার পরিষ্কার করছেন। এই দেখে সাধারণ মানুষ কিন্তু থানার বড়বাবুর প্রশংসা করতে ছাড়েননি। তবে অনেকেই বলছেন এরকম পুলিশ অফিসার খুব কমই দেখা যায়।। মুর্শিদাবাদ জেলার বড়ঞা থানার।
কুলি চৌরাস্তা আর, জি, পাটি, গ্রামরক্ষী বাহিনীর কার্যালয়, বিশ্রামাগার ও শৌচাগারের।
গড়ে উঠেছিল। কুলি চৌরাস্তা এলাকাবাসী ও প্রশাসনের কর্তাদের সহযোগিতায় ১৯৯৬ সালে গড়ে উঠেছিল এই বিশ্রামাগার। সেসময় জেলামাসক সৌরভ দাস, পুলিশ সুপার মৃত্যুঞ্জয় কুমার সিং, অনিল কুমার আইপিএসদের সহযোগিতায় গড়ে উঠেছিল কুলি চৌরাস্তা যাত্রী প্রতীক্ষালয়। সেই যাত্রী প্রতীক্ষালয়ের সামনে গজিয়ে উঠেছিল পানের দোকান চায়ের দোকান। যে জন্য বিশ্রামাগার তৈরি করা হয়েছিল সেটা আস্তে আস্তে দখল হয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু বড়ঞা থানা পুলিশের পক্ষ থেকে সেই দোকানগুলোকে সরিয়ে দেওয়া হয় দখল মুক্ত করেন। শুধু তাই নয়, বড়ঞা থানার বড়বাবুকে দেখা যাচ্ছে নিজে হাতে যাত্রী প্রতীক্ষালয় পরিষ্কার করছেন। বড়ঞা থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার অনিন্দম দাস, চারটি ফ্যান চারটি লাইট লাগিয়ে দেন প্রতীক্ষালয়ে বাস যাত্রী থেকে পথচারী থেকে সকলেই বসে বিশ্রাম করতে পারবে। বিশ্রামাগার নিজে হাতেই থানার বড়োবাবু পরিষ্কার করছে
তাই দেখে পথ চলতি মানুষ ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
কুলি চৌরাস্তায় ১৫ থেকে কুড়িটা গ্রামের মানুষ আসেন এখানে তারা বিভিন্ন রকম কাজ সেরে প্রতীক্ষালয়ে একটু বিশ্রাম নিত। দূর পাল্লা বাসযাত্রীরা এখানে বসে বিশ্রাম করতো। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যে বাদশাহী সড়ক সংরক্ষণের কাজ চলছে সেই সময় অনেক দোকানকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তখন কয়েকজন চা, পান, দোকানদার আরজি পার্টির সামনে ঘুমটি, ঠেলাগাড়ি, লাগিয়ে দেয়। এতে বিশ্রামাগার যেতে অসুবিধার মুখে পড়তে হতো। কুলি চৌরাস্তা আর জি পার্টির বিশ্রামাগার দখলমুক্ত হওয়ায়। বড়ঞা থানার পুলিশ প্রশাসনকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী, বড়ঞা থানার পুলিশ এই কাজে আরজি পার্টির প্রাক্তন সভাপতি চাঁদ মোহাম্মদ পথযাত্রী থেকে সাধারণ প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct