আপনজন ডেস্ক: জর্দানে তিন মার্কিন সেনা নিহত হওয়ার প্রতিশোধ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো সম্ভাব্য হামলার বিরুদ্ধে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি শুক্রবার কঠোর হুঁশিয়ারি জারি করেছেন। এএফপির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড পরিচালিত একটি উপসাগরীয় নৌঘাঁটি পরিদর্শনের সময় রাইসি বলেন, ‘আমরা অনেকবার বলেছি, আমরা কোনো যুদ্ধের সূচনাকারী হব না। তবে যদি কোনো দেশ, নিষ্ঠুর শক্তি তাণ্ডব করতে চায়, তাহলে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান দৃঢ়ভাবে জবাব দেবে।’বন্দর আব্বাসে ঘাঁটি পরিদর্শন করার সময় রাইসি বলেন, এ অঞ্চলে ইরানের সামরিক শক্তি অন্য কোনো দেশের জন্য হুমকি ছিল না এবং এখনো নয়। তবে এটি নিরাপত্তার একটি উৎস, যার ওপর এই অঞ্চলের দেশগুলো নির্ভর করতে পারে এবং বিশ্বাস করতে পারে।ইরানি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আজ আমাদের বিরুদ্ধে শত্রুর কিছু করার ক্ষমতা নেই; কারণ তারা জানে, আমাদের বাহিনী শক্তিশালী ও সক্ষম।’এএফপির তথ্য অনুসারে, ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ চলছে।জর্দানের একটি ঘাঁটিতে রবিবার ড্রোন হামলায় মার্কিন সেনাদের মৃত্যুর ঘটনাটি এই অঞ্চলে যুদ্ধকালীন উত্তেজনায় প্রথম মার্কিন সামরিক ক্ষয়ক্ষতি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই হামলার জন্য ‘ইরান সমর্থিত উগ্র সশস্ত্র গোষ্ঠীকে’ দায়ী করেছেন।বাইডেন বলেছেন, তিনি ইতিমধ্যে মারাত্মক বোমা হামলার প্রতি মার্কিন প্রতিক্রিয়ার প্রকৃতি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে জনসমক্ষে পরিকল্পনা বা সময় সম্পর্কে বিস্তারিত জানাননি।পাশাপাশি তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, তিনি মধ্যপ্রাচ্যে বৃহত্তর যুদ্ধ চাইছেন না।এ ছাড়া হোয়াইট হাউস সতর্ক করে বলেছে, হামলার প্রতিশোধ নিতে ‘একাধিক পদক্ষেপ’ নেওয়া হতে পারে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাইডেন শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রে মৃতদেহ প্রত্যাবর্তনের তত্ত্বাবধান করবেন। সেখানে তাঁদের সামরিক সম্মানের সঙ্গে গ্রহণ করা হবে।ইরান হামলার সঙ্গে কোনো যোগসূত্র অস্বীকার করে বলেছে, তারা মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতের ‘বিস্তার’ চাইছে না।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct