আপনজন ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল গ্রন্থাগার বাটলার লাইব্রের একটি অংশ দখল করে বিক্ষোভ করতে থাকে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীরা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, এ ঘটনার জেরে বুধবার (৭ মে) নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগ (এনওয়াইপিডি) কমপক্ষে ৭০ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ক্লেয়ার শিপম্যান ঘটনাটিকে ‘অনভিপ্রেত’ বলে অভিহিত করে এক বিবৃতিতে জানান, বুধবার বিক্ষোভকারীরা জোরপূর্বক গ্রন্থাগারে প্রবেশ করে, যার ফলে দুইজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা আহত হন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, বিক্ষোভকারীরা ‘কেফিয়া’ (মধ্যপ্রাচ্যের ঐতিহ্যবাহী স্কার্ফ) ও মুখোশ পরে গ্রন্থাগারে প্রবেশ করছে।
এটি ট্রাম্প প্রশাসনের আরোপিত নিষেধাজ্ঞার স্পষ্ট লঙ্ঘন।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, অনেকে গ্রেফতার হওয়া বিক্ষোভকারীর ছাত্র ছিলেন না। প্রেসিডেন্ট শিপম্যান এনওয়াইপিডি-র সহায়তা চেয়েছিলেন এবং শিক্ষার্থীদের গ্রন্থাগার থেকে দূরে থাকতে আহ্বান জানান।
এনওয়াইপিডি পৃথক এক পোস্টে জানায়, ‘কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সরাসরি অনুরোধে পুলিশ গ্রন্থাগার দখলের ঘটনায় হস্তক্ষেপ করছে।’
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বিক্ষোভকারীদের বের হওয়ার পথ বন্ধ করে দিয়ে, ভেতরে থাকা ব্যক্তিদের তাদের শিক্ষার্থী আইডি দেখানোর আহ্বান জানান, অন্যথায় গ্রেফতারের হুঁশিয়ারি দেন। এতে দীর্ঘক্ষণ অচলাবস্থা তৈরি হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঘৃণা বা সহিংসতাকে কোনোভাবেই বরদাস্ত করব না।’
নিউইয়র্ক সিটি মেয়র এরিক অ্যাডামস বলেন, ‘আমাদের শহরে ঘৃণা ও সহিংসতার কোনো স্থান নেই।’
তবে বিক্ষোভকারীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ‘সহিংস দমননীতির’ অভিযোগ এনেছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় দখলদার ইসরায়েলের আগ্রাসন শুরুর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ইহুদিবিরোধী ও ফিলিস্তিনপন্থি ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে এসেছে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। পরে তা দেশটির অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়ে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct