রাজু আনসারী, অরঙ্গাবাদ, আপনজন: সঠিক সময়ে স্কুলে শিক্ষকরা না আসায়, ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার মান নিম্নমানের হওয়ায় ক্ষুব্ধ ফরাক্কা সার্কেলের স্কুল ইন্সপেক্টর দীপান্বিতা কুন্ডু। এই অভিযোগে ৩৫ নম্বর শঙ্করপুর প্রাইমারি স্কুলের চারজন শিক্ষক কে শোকজ করে। এই ঘটনা কে কেন্দ্র করে শিক্ষক মহলে চাঞ্চল ছড়ায়। শোকজ হওয়া শিক্ষক দের মধ্যে অন্যতম ফরাক্কা সার্কেল তৃণমূল শিক্ষা সংগঠন সভাপতি মিঠুন দাস। যদিও মিঠুন দাসের বক্তব্য আমি একজন শিক্ষক হিসাবে নিয়মিত স্কুলে আসি তার পর রাজনীতি করি। বাম শিক্ষক নেতাদের কথা তিনি চলা ফেরা করছেন। সূত্রের খবর, শোকজ নোটিশ পেতেই ফরাক্কা সার্কেল তৃণমূল শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি মিঠুন দাস ফরাক্কা সার্কেলের স্কুল ইন্সপেক্টর দীপান্বিতা কুন্ডুর হোয়াটসঅ্যাপ ম্যাসেজ করে হুমকি দেন বলে অভিযোগ। অভিযোগ তিনি নাকি ম্যাসেজে লিখিছেন, ‘আপনি পাওয়ার দেখাচ্ছেন, ভুলে যাচ্ছেন আমি রুলিং পার্টির সভাপতি। আর কোথাও পোস্ট করার থাকলে করে দিন, আমিও এর শেষ দেখতে চাই। আপনি জানেন না বাম নেতারা যারা আপনাকে ম্যাডাম ম্যাডাম করে ওরা কেমন? যাই হোক আপনার যা ক্ষমতা আমার ওপর প্রয়োগ করুন, আমি নিজের জায়গা থেকে নড়ছি না, আমার যত ক্ষতি হোক সব মেনে নেব কিন্তু কেউ যদি আমার শিক্ষাগত দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে সেটা মানব না কারণ আমি স্কুল করি, তারপর রাজনীতি করি।’যদিও আগামী ৯ নভেম্বরের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি মিঠুন দাসের সাফ জবাব, আমি শোকজের কোন জবাব দেবনা।এপ্রসঙ্গে এসআই দীপান্বিতা কুন্ডু জানান, আমি সরকার দ্বারা নিয়োগপ্রাপ্ত আধিকারিক। যতদিন ফরাক্কা চক্রে থাকব সরকার নির্দেশিত নিয়ম মেনে এই চক্রের শিক্ষার উন্নতির জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাব এবং এই সার্কলের এর প্রতিটি প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক হিসাবে যারা নিয়োজিত আছেন তারা তাদের দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন না করলে আমি তাদের সঠিক ভাবে পরিচালনা করার চেষ্টা করে যাবো। এটা আমার পাওয়ার দেখানো নয়, দায়িত্ব পালন।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct