আপনজন: অমর্ত্য সেনের শান্তিনিকেতনের পৈতৃক বাসভবন প্রতীচীর সামনে বাউলদের নিয়ে অবস্থান করতে মঙ্গলবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্থানীয় মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার প্রতি ওই নির্দেশ দেন। তিনি তাঁকে ৬ ও ৭ মে প্রতীচীর সামনে শান্তিপূর্ণ ওই অবস্থান ধর্মঘটের কথা বলেন।নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের পৈতৃক ১ দশমিক ৩৮ একর জমির মধ্যে ১৩ ডেসিমেল অবৈধ দখলের অভিযোগ করে আসছে বিশ্বভারতী। এ নিয়ে সম্প্রতি বীরভূমের মহকুমা আদালত ৬ মের মধ্যে অমর্ত্য সেনকে ওই ১৩ ডেসিমেল জমি দখলমুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। আদালত এ–ও বলেছেন, এই সময়ের মধ্যে জমি ফাঁকা করা না হলে সেখানে বিশ্বভারতী উচ্ছেদ অভিযান চালাতে পারবে। মূলত, আদালতের এই নির্দেশের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ ক্ষোভ প্রকাশ করলেন।
ক্ষোভ প্রকাশ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘বাংলায় ওরা আগুন নিয়ে খেলছে। আমি ওদের ঔদ্ধত্য দেখেছি। বলতে শুনেছি, অমর্ত্য সেনের বাড়ি বুলডোজার নিয়ে গুঁড়িয়ে দেবে। যদি ওরা অমর্ত্য সেনের বাড়ি ভাঙতে আসে, তবে ওখানে গিয়ে আমি বসব। লড়াই করব। ’অবশ্য অমর্ত্য সেনের আইনজীবী গোরাচাঁদ চক্রবর্তী গত বৃহস্পতিবার বীরভূমের জেলা জজ আদালতে ওই আদেশের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন করেছেন। সেই আবেদনের শুনানির জন্য ১৫ মে দিন ধার্য করেছেন বিচারক। অমর্ত্য সেন দাবি করে আসছেন, ওই জমি ১৯৪৩ সালে তাঁর বাবা আশুতোষ সেনকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইজারা দিয়েছিল। সেই জমি এখন অমর্ত্য সেনের নামে বীরভূমের বোলপুরের ভূমি দপ্তর থেকে মিউটেশনও করা হয়েছে। সুতরাং, অবৈধ দখলের প্রশ্ন নেই। তবে বর্তমানে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ দাবি তুলেছে, ওই ১ দশমিক ৩৮ একর জমির মধ্যে ১৩ ডেসিমেল অমর্ত্য সেন অবৈধভাবে দখল করে রেখেছেন। অমর্ত্য সেনের আইনজীবী গোরাচাঁদ চক্রবর্তী বলেন, অমর্ত্য সেন কোনো জমি বেআইনিভাবে দখল করেননি। ওই জমির কিছু অংশ ইজারা নেওয়া, কিছু অংশ নিজেদের কেনা। সুতরাং, এই জমি থেকে উচ্ছেদের কোনো কথা উঠতে পারে না।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct