কুতুব উদ্দিন মোল্লা, জয়নগর, আপনজন: দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর থানার অন্তর্গত ধোসা চন্দনেশ্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাজার সহ গ্রামে দেখা মিলছে এই গরমে। তালের শাঁস। তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে মানুষের জনজীবন। দিনের এই তাপ থেকে একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে রসালো তালের শাঁসের জুড়ি মেলা ভার। জয়নগরের বিভিন্ন এলাকায় গ্রামের ও বাজারে কচি তালের শাঁসের পশরা নিয়ে হাজির অনেকেই। তাল শাঁস বিক্রেতা অম্বর আলী সরদার বলেন, তীব্র গরমে কদর বেড়েছে রসালো ফল তালের শাঁসের। রোদের তাপমাত্রা যত বাড়ছে ততই চাহিদা বাড়ছে এই ফলের। এ তীব্র গরমে অস্থির পথচারীদের এক মুহূর্তের জন্য হলেও তৃষ্ণায় স্বস্তি এনে দিচ্ছে কচি তালের শাঁস।তালের শাঁস শরীরের জন্য। খুবই উপকারি একটি ফল। গরমের দিনে তালের শাঁসে থাকা জলীয় অংশ জল শূন্যতা দূর করে। তালের শাঁস গুনাগুন নিয়ে গ্রামীণ ক্যানিংয়ের এক চিকিৎসক লিয়াকত আলী লস্কর বলেন , ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সি, এ, বিকমপ্লেক্সসহ নানা ধরনের ভিটামিন রয়েছে এই তালের শাঁস।
তালে থাকা এন্টি অক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। কচি তালের শাঁস রক্তশূন্যতা দূর করে। চোখের দৃষ্টি শক্তি ও মুখের রুচি বাড়ায়। তবে এক সময় ধোসা চন্দনেশ্বর অঞ্চলের বিভিন্ন রাস্তার পাশে কিংবা বসতবাড়িতে অসংখ্য তাল গাছের দেখা মিলত। কালের বিবর্তণে দিনদিন গ্রামীন ঐতিহ্যবাহী এসব তাল গাছ বিলুপ্তির পথে যাচ্ছে। শিশু-কিশোর, যুবক-যুবতি, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা সবার কাছে তালের শাঁস প্রিয়। আবার মৌসুমি ফল বলে শখের বশেই অনেকে এটি কিনে খায়। ২০ টাকায় ৪ টি তালের শাঁস বিক্রয় হচ্ছে। দামেও বেশ সস্তা, তাই বাজারে এর কদরও বেশি। তবে যতই তাপ বাড়ছে। ততই বাড়ছে তালের শাঁস চাহিদা। খুশি ব্যবসায়ীদের মধ্যে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct