সঞ্জীব মল্লিক , বাঁকুড়া, আপনজন: শালী নদী পারাপারের জন্য গত চার মাস আগে ভেঙেছে বাঁশের সাঁকো। নেই লাইফ জ্যাকেট। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় করে নদী পারাপার করছে স্কুল পড়ুয়ারা। ক্ষুব্ধ আট থেকে দশটি গ্রামের সাধারণ মানুষরা , দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস বিষ্ণুপুর মহকুমা শাসকের।
বাঁকুড়া জেলার পাত্রসায়ের ব্লকের গোস্বামী গ্রাম সংলগ্ন শালী নদী পারাপারের জন্য আট থেকে দশ টি গ্রামের সাধারণ মানুষদের একমাত্র ভরসা ছিল বাঁশের সাঁকো। গত চার মাস আগে শালী নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পেলে জলের তরে সেই বাঁশের সাঁকো ভেঙে যায়। তাই নদী পারাপারের জন্য এই মুহূর্তে একমাত্র ভরসা নৌকা। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষরা প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার করছেন। কোনরকম লাইফ জ্যাকেট ছাড়াই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা এবং সাধারণ মানুষ নৌকা করে যাতায়াত করছেন। এমতাবস্থায় প্রাণহারির মতো মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটলে তার দায় কে নেবে সেটাই এখন সবথেকে বড় প্রশ্ন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি , তাদের এই সমস্যা আজকের নয় বছরের পর বছর ধরে এই সমস্যা ভোগ করে আসছেন তারা। গোস্বামী গ্রাম, মামুদপুর, শালখারা, বৈকুণ্ঠপুর, ফরিদপুর সহ আট থেকে দশটি গ্রামের স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলে যাতায়াত থেকে শুরু করে কোন মুমূর্ষ রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে গেলে প্রতিদিন একরাশ আতঙ্ক নিয়ে নদী পারাপার করতে হয়। অনেক সময় নৌকা পালটি হয়ে যায়। তাই দ্রুত শালী নদীর ওপর একটি পাকা সেতু তৈরি করার দাবী জানিয়েছেন তারা।
বিষ্ণুপুর মহকুমা শাসক প্রসেনজিৎ ঘোষ সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়ে জানান, নৌকায় যাতায়াতের জন্য লাইফ জ্যাকেট যাতে ব্যবহার করে তার জন্য আমরা ওখানে লোক পাঠাচ্ছি। এছাররাও তিনি বলেন , ইতিমধ্যেই ব্লক প্রশাসনের তরফে এই সমস্যার কথা জেলাতে পাঠানো হয়েছে। দ্রুত এই সমস্যার সমাধান কিভাবে করা যায় আমরা সব রকম ভাবে তার চেষ্টা করছি।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct