সাদ্দাম হোসেন, জলপাইগুড়ি, আপনজন: অসুস্থ স্বামীর চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন। কিন্তু অভিযোগ কর্তব্যরত চিকিৎসকই ছিলেন অপ্রকৃতস্থ। আর তার প্রতিবাদ করাতে শ্লীলতাহানি, মারধরের অভিযোগ। জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ নিগৃহীতার পরিবারের। ইতিমধ্যেই মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে, ধূপগুড়ি জলঢাকা এলাকার বাসিন্দা পেশায় ব্যবসায়ী পেটে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। পরিবারের দাবি, রবিবার রাত দুটো নাগাদ তাঁর প্রচণ্ড পেট ব্যথা হয়। তাঁকে প্রথমে ধূপগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
পরিবারের লোকেরা রবিবার ভোর রাতে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যান।জরুরি বিভাগে টিকিট করে কর্তব্যরত চিকিৎসকের কাছে রোগীকে নিয়ে যান। অভিযোগ, ওই সময় চিকিৎসক অপ্রকৃতস্থ ছিলেন। তিনি অসংলগ্ন কথাবার্তা বলছিলেন। প্রেসক্রিপশনে লেখা শুরু করে কাগজ পার করে তিনি টেবিলের ওপরেও লিখছিলেন। পরিস্থিতি যে বেগতিক, তা আর বুঝতে দেরি হয়নি রোগীর পরিবারের সদস্যদের। অভিযোগ, বাড়ির লোক প্রতিবাদ করায় চিকিৎসক নিরাপত্তারক্ষীদের ডাক দেন। অভিযোগ, এরপর নিরাপত্তারক্ষীরা বাড়ির লোকদের ঘিরে ধরেন। তাঁদের বেধড়ক মারধর করা শুরু করে দেন। ছেলেকে মারছে দেখে, মা এগিয়ে গেলে তাঁকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। নিগৃহীতার বয়ান অনুযায়ী, শাড়ি ধরে টান মারেন পুরুষ নিরাপত্তারক্ষীরা। ওই ঘটনার ভিডিয়ো রেকর্ড করছিলেন তাঁর বড় ছেলে। তাঁকেও বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। জোর করে একটি মোবাইলের ভিডিয়ো ডিলিটও করিয়ে দেওয়া হয়। পরে রোগীকে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে শিলিগুড়ি নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর ওই পরিবার জলপাইগুড়ির সমাজ কর্মী অঙ্কুর দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে৷ এরপর সকলে মিলে সোমবার দুপুরে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ওই সময় হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন না এমএসভিপি। একপ্রকার বাধ্য হয়ে রোগীর পরিবার সহকারি সুপারের মলয় দের সঙ্গে দেখা করে অভিযোগ জমা দেন। হাসপাতালের সহকারি সুপার মলয় দে বলেন, “একদম অনভিপ্রেত ঘটনা। আমরা অভিযোগ পেয়েছি। পুরো ঘটনা তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” যদিও অভিযুক্ত চিকিৎসকের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct