সঞ্জীব মল্লিক, বাঁকুড়া, আপনজন: বাঁকুড়া জেলা বিষ্ণুপুর ব্লকের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া বিড়াই নদী, সুভাষপল্লী গ্রামের কাছে এই নদীর উপর রয়েছে একটি কংক্রিট সেতু, প্রায় ২০০৮ সাল সময়কালে বাঁকুড়া জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে তৈরি করা হয়েছিল এই সেতু, ২০২৩ সালে আগস্ট মাসের ২ তারিখে বৃষ্টির জলে ফুলে ফেঁপে উঠেছিল বিড়াই নদী, এই নদীর জলের স্রোতে ওই দিনই ভেঙ্গে গিয়েছিল এই কংক্রিটের সেতু, ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল সেতুর চারটি ব্লগ, এরপর ধীরে ধীরে নদীর জল কমতেই দেখা যায় বিপদজনকভাবে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে সেতুটি, ভাঙ্গা সেতু পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা এবং স্থানীয় বিধায়ক এলাকার মানুষকে আশ্বস্ত করেছিলেন দ্রুততার সাথে সেতুটি সংস্কার অথবা পুনঃনির্মাণ করে দেওয়ার। কিন্তু সেতু ভেঙ্গে যাওয়ার পর প্রায় তিন মাস কেটে গেলেও আজও সেতু পুনঃনির্মাণ বা কোন রকম সংস্কার করা হয়নি। অগত্যার গতি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাধ্য হয়ে এলাকার কয়েকশো মানুষ প্রতিদিন ওই ভাঙ্গা ঝুলন্ত সেতু দিয়েই পারাপার করছে। এলাকার মানুষের দাবি এই সেতুর ওপর নির্ভর করে রয়েছে এলাকার ৫ থেকে ৬ গ্রাম, ভাঙা সেতুর জন্য গ্রামে অ্যাম্বুলেন্স ঢুকতে পারেনা, স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীরা রয়েছে রয়েছে কৃষকরা প্রত্যেককেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেতু পারাপার করতে হচ্ছে। ভাঙা সেতুর উপর দিয়ে কেউ পারাপার করলে সেতুটি দুলতে থাকে, যেকোনো সময় ভেঙ্গে পড়তে পারে, ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা, ভুরুক্ষেপ নেই প্রশাসনের। এলাকার মানুষ তাও দাবি জানাচ্ছে যাতে করে প্রশাসনিক আধিকারিকরা দ্রুততার সাথে এই সেতু মেরামত করে।
বিষ্ণুপুরের মহকুমা শাসক প্রসেনজিৎ ঘোষ জানান সমস্যার কথাটা আমাদের জানা ইতিমধ্যেই বিষ্ণুপুর ব্লকের বিডিও তিনি নিজে গিয়ে জায়গা পরিদর্শন করেছেন, বৃষ্টি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর যাতায়াত বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল, এখন দেখা যাচ্ছে ওই বেয়ারিকের ছড়িয়ে কিছু মানুষ যাতায়াত শুরু করেছে সেই বিষয়টা আমরা দেখে নিচ্ছি যাতে করে কোন দুর্ঘটনা না ঘটে। এবং ব্রীজটা যাতে দ্রুত সারানো যায় তার জন্য আমরা জেলা পরিষদ কে চিঠি করেছি কারণ গ্রাম পঞ্চায়েত বা ব্লকের কাছে এই রকম টেকনিক্যাল এক্সপার্ট নেই তাই জেলা থেকে যাতে বৃষ্টির সংস্কারের কাজটা টেকআপ করা হয় আমরা অলরেডি ব্যবস্থা নিচ্ছি, এলাকার মানুষ সমস্যায় রয়েছে কিছুদিন পথ দিয়ে যাতায়াত করতে হবে কোনভাবেই যাতে সেফটির সাথে আপোষ করা না হয় সেটা আমার দেখছি। ভাঙ্গা সেতু নিয়ে শাসক বিরোধী তরজা, বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির মুখপাত্র দেবপ্রিয় বিশ্বাস বলেন, বিধায়ক ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন, সাংসদ গেলে তারা খান, বিধায়ক কিছু করতে পারবে না, কাকে দিয়ে ব্রিজ সারাবে! কে কাটমানি বেশি দেবে সেটা নিয়ে চলছে ব্যবস্থা। ২০২৪ এর পরে যখন তৃণমূল সরকার থাকবে না তখন এই সমস্যার সমাধান হবে। বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি দিব্যেন্দু ব্যানার্জি বলেন যত সম্ভব তাড়াতাড়ি কাজ এখানে শুরু হবে জেলা পরিষদ এই বিষয়ে এগিয়ে গেছে কাজটা কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হবে, বিজেপি নেতাদের উত্তর দেওয়ার কিছু নেই, মানুষ তাদের উত্তর দিয়েছে, যে নেতারা বলছে তৃণমূল সরকার কাজ করে না সেই নেতাদের ঘরেও তৃণমূলের স্বাস্থ্য সাথী কার্ড আছে তাদের ঘরের লোকেরাও লক্ষীর ভান্ডার পাচ্ছে। তবে বিজেপি কোনদিন ক্ষমতায় আসবেনা ক্ষমতায় আসার প্রবাদ গুনছে বিজেপি।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct