সঞ্জীব মল্লিক, বাঁকুড়া, আপনজন: বাঁকুড়া জেলার পাত্রসায়ের ব্লকের হামিরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের খোসালপুর গ্রাম সংলগ্ন শালী নদীর উপর অবস্থিত ব্রিজটি গত কয়েক বছর ধরে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। যে কোন মুহূর্তেই প্রাণ হানির মতো মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তার ওপর ব্রিজের উপর দিয়ে দেদারে চলছে বালি বোঝায় ট্রাক্টর ফলে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা আরও বাড়ছে। বর্ষাকাল এলে শালী নদীতে জল বারলে সাধারণ মানুষদের মধ্যে আরও বেশি আতঙ্ক তৈরি হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি , পাঁচ থেকে ছয় বছর ধরে এই ব্রীজটির বেহাল দশা প্রশাসন বিষয়টি জানে তার পরেও ব্রিজ সংস্কারের কোনরকম উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না।
বাগড়াডাঙা , শিমুল ডাং নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকার সাধারণ মানুষদের প্রতিনিয়ত পাত্রসায়ের ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র , ব্লক অফিস সহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে আসতে হয়। পাশাপাশি প্রতিদিন ইস্কুল কলেজের ছেলেমেয়েরা এই ব্রিজের উপর দিয়েই যাতায়াত করে। ফলে কোন ভয়ানক দুর্ঘটনা ঘটলে এর দায় কে নেবে সেটাই এখন সবথেকে বড় প্রশ্ন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন , গত দুবছর আগে এই শালী নদীতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তখন ব্রিজের এক দিকের গার্ডওয়াল ভেঙ্গে গেছে এবং ব্রিজের নিচের একটা অংশের থেকে মাটি সরে গিয়েছে ফলে বর্ষাকালে শালী নদীতে জল বাড়লে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। তার উপর ব্রিজের উপরে থাকা দুই দিকের রেলিংয়ের সিমেন্ট খসে রড বেরিয়ে গেছে। স্বাভাবিকভাবেই এই মুহূর্তে একেবারে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে এই ব্রীজটি। বাম আমলে তৈরি হওয়া এই ব্রিজ কবে সংস্কার হয় সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন এলাকার সকল সাধারণ মানুষ।
প্রদীপ রায় নামের এক টোটো চালক এবং মমতা বাগদি ও ধীরেন বাগদি নামের স্থানীয় বাসিন্দা জানান , বিডিও বন্যার সময় এসে ব্রিজ দেখে গেছেন কিন্তু তারপরও এখনও কোন কাজ হয়নি। বর্ষাকাল এলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই ব্রিজ পারাপার করতে হয় যে কোন মুহূর্তেই বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই সরকারের কাছে অনুরোধ দ্রুত সরকার এই ব্রীজ সংস্কারের উদ্যোগ নিক।
এ বিষয়ে হামিরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান আসগর আলী জানান , বিষয়টি বিডিও এর নজরে আছে দ্রুত সমস্যার সমাধান করা হবে।
আর এই নিয়ে রাজ্যের শাসক দল ও প্রশাসনকে তীব্র কটাক্ষ করেছে সোনামুখী বিধানসভার বিধায়ক দিবাকর ঘরামী। তিনি বলেন , এই সরকারের এলাকার উন্নয়ন নিয়ে মাথাব্যথা নেই। এই সরকার মেতে আছে কিভাবে পয়সা তুলে কালীঘাটে পয়সা পৌঁছে দেওয়া যায়।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct