সঞ্জীব মল্লিক, বাঁকুড়া, আপনজন: হাসপাতালের সীমানা পাঁচিল তৈরিতে বাধা, আন্দোলনে জবরদখলকারীদের বড় অংশ, নির্মাণ কাজ আপাতত স্থগিত রাখার নির্দেশ বিধায়কের ।
হাসপাতালের জায়গা জবরদখলমুক্ত করার জন্য আগেই স্থানীয় জবরদখলকারীদের নোটিশ দিয়েছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এবার সেই জবরদখলকারীদের বাধায় আটকে গেল হাসপাতালের সীমানা পাঁচিল তৈরীর কাজ। আপাতত ওই কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় বিধায়কও।
বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে এতদিন কোনো সীমানা পাঁচিল ছিল না। ফলে হাসপাতাল চত্বর কার্যত পরিণত হয়েছিল গবাদি পশুর অবাধ চারণভূমিতে। সন্ধ্যে হলেই হাসপাতাল চত্বর পরিণত হত সমাজবিরোধীদের আড্ডাস্থলে। হাসপাতালের নিজস্ব জায়গার একটা বড় অংশ দখল করে রীতিমত ঘর বাড়িও বানিয়ে ফেলেছিল জবরদখলকারীরা। সম্প্রতি এই হাসপাতাল পাকা সীমানা পাঁচিল দিয়ে ঘিরে ফেলার উদ্যোগ নেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ হওয়ার পর কংক্রিটের সীমানা পাঁচিল তৈরীর কাজ শুরু হয়। নোটিশ দিয়ে দ্রুত হাসপাতালের জায়গা জবরদখলমুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়। হাসপাতাল চত্বর জবরদখলমুক্ত হওয়া তো দূর, এবার সীমানা পাঁচিল নির্মাণের কাজই বন্ধ করে দিল জবরদখলকারীরা । জবরদখলকারীদের দাবী তাঁরা প্রায় ৭০ বছর ধরে ওইজায়গায় বসবাস করে আসছেন।
পুনর্বাসন না দিলে জবরদখলমুক্তকারীরা নিজেদের অবস্থান থেকে সরতে নারাজ
স্থানীয়। স্থানীয় বিধায়ক থেকে শুরু করে বিষ্ণুপুরের পুরপ্রধান খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে জবরদখলকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে বিধায়ক বলেন, সমসার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আপাতর সীমানা পাঁচিলের নির্মান কাজ বন্ধ থাকবে। পরে জেলা শাসকের মধ্যস্থতায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করা হবে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবী বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে । তাঁরা দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
ছবি: চিরঞ্জিত বিশ্বাস
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct