আপনজন ডেস্ক: বিগত বছরগুলোতে রোবটিকস ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) অগ্রগতির ফলে অত্যাধুনিক রোবট কুকুর উদ্ভাবন সম্ভব হয়েছে। এই যন্ত্রগুলো একসময় শুধু সহায়তা প্রদানকারী ও উদ্ভাবনী যন্ত্র হিসেবে কল্পনা করা হতো। তবে বর্তমানে এগুলোকে সামরিক ও নিরাপত্তার উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতেও দেখা যাচ্ছে। এই প্রযুক্তির সর্বশেষ ও সবচেয়ে বিতর্কিত উদ্ভাবন হচ্ছে রাইফেল সজ্জিত রোবট কুকুর।কম্বোডিয়ার সঙ্গে সাম্প্রতিক যৌথ সামরিক মহড়ায় চীনের সামরিক বাহিনী একটি কুকুর আকৃতির রোবট দেখিয়েছে যার পিঠে একটি স্বয়ংক্রিয় রাইফেল লাগানো ছিল। যা মূলত মানুষের সেরা বন্ধু ইলেক্ট্রনিক রোবটকে ‘মানুষ হত্যার যন্ত্রে’ পরিণত করেছে।
রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম সিসিটিভির বরাতে সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একটি ভিডিওতে চেন ওয়েই নামে পরিচিত এক সৈনিক বলেন, এটি (রোবট) শহরভিত্তিক যুদ্ধ অভিযানে সক্রিয় এবং নতুন সদস্য হিসেবে কাজ করতে সক্ষম। সেনা সদস্যদের ছাড়াই শত্রুকে চিহ্নিত করতে এবং লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে পারে।চীন-কম্বোডিয়া গোল্ডেন ড্রাগন ২০২৪ মহড়ার সময় তৈরি করা দুই মিনিটের ভিডিওতে দেখা যায়, রোবট-কুকুরটি দূর-নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের ইশারায় এগিয়ে যাচ্ছে, লাফ দিচ্ছে, শুয়ে পড়ছে এবং পেছনের দিকে যাচ্ছে।এই রাইফেল-ফায়ারিং রোবটটি একটি পদাতিক ইউনিটের নেতৃত্বে রয়েছে। যা বাহিনীটিকে একটি ভবনের নিয়ন্ত্রণ নিতে এগিয়ে যেতে নির্দেশ দিচ্ছে।ভিডিওর শেষের অংশে দেখা যায় একটি ছয়-ডানার ড্রোনের নিচে সংযুক্ত করা রয়েছে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল। এসবের মাধ্যমে চীন যে বার্তা দিতে যাচ্ছে তা হচ্ছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্ত্বা সমৃদ্ধ বিভিন্ন ধরনের বুদ্ধিমান মনুষ্যহীন সরঞ্জাম যুদ্ধক্ষেত্রের জন্য প্রস্তুত রেখেছে তারা। রোবটের হাতে এমন বিধ্বংসী অস্ত্র দেয়ায় বিশ্বব্যাপী নতুনভাবে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। প্রসঙ্গত, গোল্ডেন ড্রাগন নামের এই সামরিক মহড়া চীন ও কম্বোডিয়ার মধ্যে এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় যৌথ মহড়া। ১৫ দিনব্যাপী এই যৌথ মহড়া ১৬ মে শুরু হয়েছে এবং ৩০ মে পর্যন্ত চলবে। এই মহড়ায় ১৪টি যুদ্ধজাহাজ, দুটি হেলিকপ্টার, ৬৯টি সাঁজোয়া যান ও ট্যাংক রয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct