সাদ্দাম হোসেন, জলপাইগুড়ি, আপনজন: উত্তর সিকিমে মেঘভাঙ্গা বৃষ্টিতে বিপর্যয়ের জেরে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৫ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ৫৯ জন। তবে অসমর্থিত সূত্রে মৃতের সংখ্যা ১০, নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ৮২ জন। সিংটামের কাছে বরদাং থেকে নিখোঁজ ২৩ জন সেনা জওয়ানের মধ্যে একজনকে উদ্ধার করা গিয়েছে। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে। সিকিমে ১৪টি সেতু ভেঙে পড়েছে। অন্তত ৩০০০ পর্যটক আটকে রয়েছেন।মঙ্গলবার গভীর রাতে প্রবল বৃষ্টির জেরে উত্তর সিকিমের চুংথাং এলাকায় দক্ষিণ লোনাক লেক থেকে জল উপচে বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়ে পড়ে তিস্তা নদী। সঙ্গে সঙ্গেই তিস্তায় জলস্তর অন্তত ১৫-২০ ফুট বেড়ে যায়। প্রবল বেগে ফুঁসতে থাকে তিস্তা। সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গের তিস্তা সংলগ্ন এলাকার মানুষকে সতর্ক করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। বহু মানুষে তিস্তা নদী সংলগ্ন এলাকা থেকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রবল জলস্ফীতিতে উত্তরবঙ্গের গাজলডোবা, দোমোহনি, মেখলিগঞ্জ, ঘিস এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তিস্তায় জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। সংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে সেচ দপ্তরের তরফে। সেই সঙ্গে তিস্তার দোমোহনি থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত অসংরক্ষিত এলাকাতেও হলুদ সতর্কতা জারি করেছে সেচ দপ্তর। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে আগামীকাল উত্তরবঙ্গে যাচ্ছেন সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তাও বিভিন্ন দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করে উদ্ধারকাজের তদারকিও করছেন।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct