নাজিম আক্তার, হরিশ্চন্দ্রপুর, আপনজন: গ্রাম পঞ্চায়েতের পর এবার পঞ্চায়েত সমিতি হাতছাড়া তৃনমূলের।দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর মঙ্গলবার সম্পন্ন হল হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকে পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন।কঠোর পুলিশি নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে বোর্ড গঠন করলেন বাম কংগ্রেস জোট।হারের কোপ পরল বিডিওর উপর।বিডিও কে দালাল বলে কটাক্ষ তৃণমূলের একাংশের। মূলত,২১ আসন বিশিষ্ট হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতিতে ১১ টি আসনে জিতেছিল কংগ্রেস-সিপিএম জোট আর ১০ টি আসন গেছিল তৃণমূলের দখলে। স্বাভাবিকভাবেই বোর্ড গঠনের দৌড়ে এগিয়ে ছিল জোট।তাই জোটের জয়ী প্রার্থীরা তৃনমূলের ভয়ে শিবির করে লুকিয়ে ছিল। পঞ্চায়েত সমিতি দখলের জন্য মরিয়া প্রচেষ্টা করেছিল শাসকদল তৃণমূল।রাতের অন্ধকারে জোটের জয়ী প্রার্থীদের গোপন শিবির কে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছিল তৃনমূলের বিরুদ্ধে।আর চলতি মাসের ১৪ তারিখ পুলিশ ফোর্সের অভাব দেখিয়ে বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া স্থগিত করেছিল প্রশাসন।এক সপ্তাহ পর হাইকোর্টের অর্ডারে বুধবার বোর্ড গঠনের জন্য তারিখ ধার্য করা হয়। এদিন সকাল থেকেই ব্লক চত্বর জুড়ে মোতায়েন ছিল বিশাল পুলিশবাহিনী। উভয় পক্ষেরই প্রচুর কর্মী-সমর্থক জমায়েত ছিল। এগারো-দশ ব্যবধানে ভোটে জিতে সভাপতি হন কংগ্রেস থেকে তহমিনা খাতুন এবং সহ সভাপতি হন সিপিআইএম থেকে আব্দুল তাহের।যদিও পঞ্চায়েত সমিতি হাত ছাড়া হওয়া যেন হজম হচ্ছে না শাসকদলের।বোর্ড হাতছাড়া হতেই তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির জয়ী সদস্য স্বপন আলী দোষারোপ করলেন প্রশাসনকে।জোটের দালাল বলে কটাক্ষ করলেন বিডিওকে । সাথে স্বপন আলীর অভিযোগ এই হারের জন্য দায়ী তৃণমূলের ব্লক নেতৃত্বও। কংগ্রেস নেতা মুস্তাক আলম বলেন,’মানুষ জোটকে ভালোবেসে ভোট দিয়েছে।জোটের প্রার্থীদের কে জিতিয়েছে। তৃণমূলকে ছুঁড়ে ফেলে জোটের বোর্ড গঠন হয়েছে।’বিজেপি নেতা কিষান কেডিয়া বলেন ‘ তৃনমূল বলেছিল খেলা হবে। জনসাধারণ তা খেলা দেখিয়ে দিল।’
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct