প্রবাল চৌধুরী, আপনজন: ‘রিফিউজি’ কথাটি যেন আবেগ প্রবণ বাঙ্গালীদের কাছে। সময়টা ১৯৪৭। একদিকে ভারতবর্ষের স্বাধীনতা অন্যদিকে দুই বাংলার বিভাজন। স্বাধীনতার আনন্দ থেকে বেশি বিশাদের সুর বাঙালি প্রাণে। বাংলার সৌন্দর্যের রূপ- রস- গন্ধ যেন বাঙালি প্রাণের অন্ধকারে মিলিয়ে যায়।মুহূর্তটা বেদনাদায়ক। কেউই জানেনা কে কোন জায়গায় স্থানান্তরিত হবে ? পরিবার আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব কারা কোথায় থাকবে ? জমি ভিটে ছেড়ে তারা কি পারবে জীবন জীবিকার সন্ধানে নতুন করে বাঁচতে ? বেশিরভাগই ছড়িয়ে পড়বে দূরদূরান্তে। সেখান থেকেই লেখক গৌতম গান তার লেখনি শুরু করেন। গ্রন্থটির নাম দেন ‘They Cross the Border’। পুরানো দিনগুলির স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে তিনি টেনে আনেন তাঁর ছোটবেলার দিনগুলোকে। সেই হেলথলা গ্রাম সেই বেত্রাবতী নদী যা আজও সেখানে রয়ে গেছে। শুধু পরিবর্তিত হয়েছে সেখানকার জীবনের ধারা ও বাসস্থান । সেই সৌন্দর্যময়তা হারিয়ে গেছে আধুনিকতার অন্ধকার বেড়াজালে। গ্রন্থটিতে প্রজন্মের পর প্রজন্মের মানসিক পরিবর্তন সব কিছুকেই লেখক ফিজিক্যাল এবং স্প্রিচুয়াল ভাবে তুলে ধরেছেন। বাগান ফুল ফল এগুলি কে প্রজন্মের পরিবর্তিত অধ্যায় রূপে দেখিয়েছেন। ৬৭ অধ্যায় সংকলিত ২৫০ পাতার এই গ্রন্থ বিশ্ব দরবারে পাঠক-পাঠিকাদের মন জয় করবে বলে আশা প্রকাশক সংস্থা র । এই গ্রন্থ থেকে ৪/৫টি মেগা চলচ্চিত্র প্রযোজকরা তৈরি করতে পারবেন বলেও জানানো হয় সাংবাদিক সম্মেলনে। গ্রন্থটি সহযোগী লেখিকা শ্রেয়শী গান। কলকাতা বিড়লা তারামন্ডলী প্রেক্ষাগৃহে গ্রন্থটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে লেখক লেখিকা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্নদিকের নেটিজনেরা।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct