সেক আনোয়ার হোসেন, নন্দীগ্রাম, আপনজন: নন্দীগ্রাম দিবস ঘিরে ক্রমশ উত্তাপ ছিল পূর্ব মেদিনীপুর। মোমবাতি মিছিল করে ভোরবেলা ভাঙাবেড়ায় শহিদ বেদিতে মাল্যদান করলেন তৃণমূলের কুণাল ঘোষ। কুয়াশার চাদরে ঢাকা চতুর্দিক। হাড়হিম করা ঠান্ডা। ঘড়ির কাঁটায় ভোর সাড়ে চারটে হবে। নন্দীগ্রাম দিবসে কাকভোরে ভাঙাবেড়া এলাকাজুড়ে মোমবাতি মিছিল তৃণমূলের। গ্রামবাসীদের মনে এখনও টাটকা ২০০৭ সালে জমি আন্দোলনের ক্ষত। তাই ঠান্ডাকে উপেক্ষা করে শহিদ স্মরণে অনুষ্ঠানে শামিল হন গ্রামবাসীরাও। নন্দীগ্রামে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে শহিদ স্মরণ মঞ্চ থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে তুলোধনা করেন কুণাল ঘোষ। শুভেন্দু অধিকারীকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, সেই নৃশংস হত্যার পিছনে যাঁরা দায়ী, আজ তাঁদেরকে নিয়ে ঘুরে বেড়ান শুভেন্দু অধিকারী। তৎকালীন শাসকদল সিপিএমের কর্মী-সমর্থকরাই আজ শুভেন্দু অধিকারীর সহযাত্রী। আর তারাই এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত। বিজেপি বিধায়ককে কলার ধরে জেলে ভরার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
তার অভিযোগ, ঠিক সিপিএমের মতোই বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীও মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর রাজনীতি করছেন। তিনি বলেন, ‘আগে সিপিএম সকলকে মিথ্যা মামলা দিয়েছে একের পর এক। সেই রাজনীতি আবার ফিরছে। বেইমান, গদ্দার শুভেন্দু সিবিআই, এনআইএ দেখিয়ে নিরাপরাধ তৃণমূল কর্মীদের, নিরাপরাধ নন্দীগ্রামবাসীকে জেলে ভরছে। ভগবান, আল্লাহ থাকলে একদিন কলার ধরে শুভেন্দুকে জেলে ভরব বলে হুমকি দেন কুনাল ঘোষ। নারদা কাণ্ডের প্রসঙ্গ তুলে আরও একবার শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেপ্তারির দাবিও তোলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক। গ্রেপ্তারি এড়াতে তৃণমূল ছেড়ে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বলেই খোঁচা দেন তিনি।এদিন শহিদ বেদিতে মাল্যদান করে বিজেপিও। এই কর্মসূচি নিয়েও শুভেন্দু অধিকারীকে খোঁচা দেন কুণাল। তার মতে, ‘নন্দীগ্রামে শহিদদের রক্ত দিয়ে কেরিয়ার গড়েছেন শুভেন্দু। তাই তার শ্রদ্ধা জানানোর কোনও অধিকার নেই।’ এদিন নন্দীগ্রাম দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কুনাল ঘোষ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী অখিল গিরি, সুপ্রকাশ গিরি সহ নেতা-কর্মীরা।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct