সজিবুল ইসলাম, সাগরদিঘী, আপনজন: এ যেন অন্য সেলিম। মানুষের পাশে মানুষের সাথে। সাধারণ মানুষের সঙ্গে এমনভাবে মিশে গেলেন যেন মনেই হচ্ছে না এ যেন সেই ব্রিগেড কাঁপানো মোহাম্মদ সেলিম। হ্যাঁ আপনার নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন, কার কথা বলছি। হ্যাঁ সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম কথাই বলছি। রবিবার বীরভূমে পার্টির কর্মসূচি সেরে রাত ৭ টার দিকে কান্দি হয়ে বহরমপুর যাচ্ছিলেন ঠিক সেই সময়ে বাম ছাত্র যুবদের সাড়া জাগানো “জীবন্তি লাল চা কমিটিতে” হটাৎ প্রবেশ করেন মোহম্মদ সেলিম।
প্রসঙ্গত মুর্শিদাবাদের কান্দি থানার অন্তর্গত জীবন্তি বাজারে জসিমউদ্দিনের নামকরা চায়ের দোকান “জীবন্তি লাল চা কমিটি “ যেখানে বামপন্থী থেকে ডানপন্থী এবং শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী সকলেই সকাল থেকে রাত্রি পর্যন্ত “চা চৌকি আড্ডায়” রাজনৈতিক বিশ্লেষণে এবং বিতর্কে ঝড় উঠে। জীবন্তি লাল কমিটির সোশ্যাল মিডিয়া বামপন্থী দের মতাদর্শ তুলে ধরেছেন দীর্ঘদিন ধরে। এই জীবন্তি লাল চা কমিটি জেলা জুড়ে আলোচনার কেন্দ্র বিন্দু ছিল এখনো রয়েছে।জীবন্তি লাল চা কমিটির সদস্যের সঙ্গে আগেও রাজ্য নেতৃত্ব দেখা করলেও সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক হিসাবে মোহাম্মদ সেলিম এই প্রথম জীবন্তি লাল চা কমিটিতে হটাৎ প্রবেশ করেন। যার ফলে বামপন্থী কর্মীদের মধ্যে দ্রুত উৎসাহ ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমান সময়ের রাজনৈতিক থেকে এলাকায় বিভিন্ন সমস্যা আলোচনায় উঠে আসে।সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিমের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন মুর্শিদাবাদ সিপিএমের জেলা সম্পাদক জামির মোল্লা, জীবন্তি লাল চা কমিটির সম্পাদক সফিউর রহমান টনিক সহ অন্যান্য কর্মী বৃন্দ। জীবন্তিতে মোহাম্মদ সেলিম কে পেয়ে কেবলমাত্র বামপন্থী কর্মীদের মধ্যেই উৎসাহ ছিল তা নয়, কংগ্রেস এমনকি শাসক দল থেকে সাধারণ মানুষের মোহাম্মদ সেলিমের সঙ্গে ছবি তোলা এবং কথা বলার হিড়িক পড়ে গিয়েছিল।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct