নিজস্ব প্রতিবেদক, কলকাতা, আপনজন: কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলায় নিহত বিতান অধিকারীর স্ত্রী সোহিনী নাগরিকত্ব পেলেন। স্বামীর মৃত্যুর পর তিনি পশ্চিমবঙ্গেই থাকবেন। তার বাংলাদেশের নাগরিকত্ব রয়েছে এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন নিহত বিতান অধিকারী দাদা। কিন্তু পহেলগাঁওতে পিকে নিয়ে ঘুরতে গিয়ে জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হন বিতান। এরপর স্বামীর মরদেহ নিয়ে কলকাতায় ফিরে আসার পর বিতান অধিকারী স্ত্রী সোহিনীর ওষুধ তার ভাইয়ের বউয়ের এদেশের নাগরিকত্ব নেই বলে প্রকাশ্যে বলতে শোনা যায়। এমনকি সোহিনী আমেরিকায় বিতানের সঙ্গে থাকতেন এবং সেখানেই তার সন্তানের জন্ম হয় বলেও বলা হয়। সোহিনীর মা বর্তমানে বাংলাদেশে রয়েছেন বলে ভাসুর দাবি করেন। কিন্তু কাশ্মীরে জঙ্গিদের গুলিতে নিহত বিতানের স্ত্রীকে এদেশের নাগরিকত্ব দিল ভারত সরকার। ফলে যাবতীয় বিতর্কে অবসান ঘটিয়ে ভারতের নাগরিক হিসেবে সোহিনী তার ছেলেকে নিয়ে থাকবেন এদেশে। তাকে আর বিদেশি বা বাংলাদেশি বলে কেউ আঙ্গুল তুলতে পারবে না। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে সকল নাগরিকরা জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হয়েছেন তাদের পাশে থাকবে সরকার। তাদের সমস্ত রকম তাই নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে সামাজিক ও ও আর্থিকভাবে। এর আগে নিহত নেতা অধিকারী স্ত্রী সোহিনীকে সিঁদুর অপারেশনের পর বলতে শোনা গিয়েছিল, তার পুরোপুরি আশা ও ভরসা আছে কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর। যেদিন তিনি তার স্বামীর কফিনবন্দী মৃতদেহ নিয়ে কলকাতায় পা রেখেছিলেন সেদিন যেদিন রাজ্যের বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারী কে জানিয়েছিলেন তার স্বামী দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে খুব পছন্দ করত। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে যে সকল নাগরিকদের জীবন বলিদান হয়েছে জঙ্গিদের গুলিতে এবং যেভাবে বিতান অধিকারী অকালে দেশের জন্য প্রাণ বলিদান করতে হয়েছে তাতে সম্মান জানিয়ে এবং শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে তার পরিবারের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে সোহিনীকে এদেশের নাগরিকত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ভারত সরকারের এই সিদ্ধান্তে খুশি নিহত বিতান অধিকারী স্ত্রী সোহিনী। তিনি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন কেন্দ্র তথা দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct