দেশ-বিভাগ পরবর্তী পশ্চিমবাংলার একটি শক্তিধর পরিবার থেকে উত্থিত খাজিম আহমেদ প্রায় ছয় দশক ধরে নিরলস বৌদ্ধিক চর্চা আর সাহিত্য নির্মাণে সম্পৃক্ত হয়ে রয়েছেন। তাঁর ‘চেকার্ড’, আর ‘মাভেরিক’ জীবনের বর্ণময় পরিচয় বর্তমান আলোচনাটির মারফত উত্থাপন করা হচ্ছে। অনেকেই তাঁকে এই বঙ্গের বাঙালি মুসলমানদের মর্যাদার অন্বেষক হিসেবে অভিহিত করে থাকেন। তাঁর অগণন রচনার অনিঃশেষ গ্রহণযোগ্যতা উভয়বঙ্গে তাঁকে বিশিষ্ট করে তুলেছে।
ছেলেবেলার আমার অসুখ-বিসুখ লেগেই থাকত। আমার জন্মভিটে কাতলামারি থেকে ৬ কিমি দূরে শহর রাজশাহি, ঠিক উত্তরদিকে। কাতলামারির ডাকঘর অধীনস্থ একটি গ্রাম নন্দীরভিটা। এই গ্রামে ডা. সাইফুল্লাহ সরকার যথার্থই ‘পাশ’ করা একজন ডাক্তার ছিলেন। দেশ ভাগাভাগি হওয়ার পর পদ্মার শাখা নদীর উত্তরপারের রাজশাহি শহরে তিনি ১৯৫০ সালে চলে গেলেন। ঔষধপত্তর তিনিই আমাদের দিতেন। তিনি ‘বগুড়া পাশ’ চিকিৎসক হিসেবে এলাকায় পরিচিত ছিলেন। আমার যখন বছর ছয়েক বয়স তেমন সময়ে অসুস্থ হলে তাঁর কাছেই চিকিৎসার জন্য অভিভাবকরা নিয়ে গেলেন। সেটা ১৯৫৩ সাল। তখন রাজশাহি শহরে যেতে কঠোর বাধানিষেধ ছিল না। সেই আমার প্রথম শহর দর্শন। বড় বড় পাকা বাড়ি দেখে বেশ আমোদ হয়েছিল। লোকপত্তরও অনেক, গাড়িঘোড়া চলছে। নন্দীরভিটেয় থাকাকালীন বেশ কয়েকবার চিকিৎসা করেছিলেন। দূরত্বের বিচারে খুব কাছে হলেও আমাকে রাজশাহিতে দেখে একটু বিস্মিতও হয়েছিলেন। শহর রাজশাহি আমাদের নয়, তা তো আমি জানতাম না! জানার কথাও নয়। ১৯৫৫-র সময়ে দেশের সীমানা নিয়ে কীসব গণ্ডগোল হল, গুলিগোলা চলল। তারপরে আর রাজশাহি শহরের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক রইল না। আমার পরিবারের সদস্যবর্গ ওদিকে আর কদাচ পা বাড়াননি। ওই যে বলেছি অসুখ-বিসুখ লেগেই থাকত, সেই সুবাদে আমার বয়স যখন বছর দশেক আমার বড়দাদা শহর বহরমপুরে চিকিৎসার জন্য আজকের লালদিঘির ঠিক দক্ষিণপ্রান্তে অবস্থিত রবীন্দ্রসদনের পশ্চিম পার্শ্বস্থ অতীব দৃষ্টিনন্দন আর অভিজাত একটি বাড়িতে নিয়ে এলেন। এই বাড়িতেই থাকতেন ডা. এস. এন চৌধুরী। শহর বহরমপুরের বনেদি পরিবারের লোকজনেরা তাকে ডা. কর্ণেল চৌধুরী নামে চিনতেন, জানতেন। বড়সড় হয়ে ওঠার পর শুনেছি তিনিও পুলিনবিহারী ঘাট থেকে ফরাসডাঙা সৈয়দাবাদের পুরনো আদি বাসিন্দাদের সঙ্গে বেশ পরিচিত ছিলেন। তাঁর কাছে আমার চিকিৎসার সময়ে খাগড়া বাজারেও গিয়েছিলাম বেশ মনে পড়ে। ‘বেঙ্গল পেপার ট্রেডিং কোম্পানি’-তে কিছু বইপত্তর কেনা হয়েছিল। ‘নিউ বোম্বে স্টোর’ থেকে কাপড়-চোপড়। ‘ঘোষ কোম্পানি’ থেকে দিদির জন্য ‘আফগান স্নো’। দুই মায়ের জন্য ‘জবাকুসুম’ তেল।আজকে কৃষ্ণনাথ রোডে বড় বড় ইমারত, শৌখিন হোটেল। আমার সেই ছেলেবেলায় ওখানেই বাসস্ট্যান্ড ছিল। সেখান থেকে ডা. এস. এন. চৌধুরীর চেম্বারের পথে প্রথম দিকটাই ব্যাপক বেলগাছ ও অন্যানা ফল-ফলাদির বাগান। শুকনো ঘাস। পায়ে চলার ফলে রাস্তার দাগ পড়েছে। তার মধ্য দিয়ে মানুষের চলতি রাস্তা। রাস্তার ওপরের ঘাসগুলো ক্ষয়ে গেছে। প্রথম যে পাকা বাড়িটি দেখেছিলাম সেটি এখনও রয়েছে। সরকারি খাদ্য-গুদামের ঠিক পূর্বদিকে। পাশে পুকুর, তার দক্ষিণে আমবাগান। তার ঠিক দক্ষিণে ‘ফুড সাপ্লাই অফিস’। পশ্চিমদিকে লালদিঘি। তারও পশ্চিমে ‘কালেক্টরেট’। বড় বড় বাড়িঘর। বিস্তীর্ণ স্কোয়ারফিল্ড। বিস্ময়কর একটি অনুভূতি হয়েছিল। সেটি ছিল ১৯৫৭ সাল। সেই আমার প্রথমবারের দেখা বহরমপুর।ডাক্তার দেখানোর পর রিকশা করে দেওয়ানগঞ্জ রোডে ‘খুদা বখশ মিঞা’র হোটেলে খাসির মাংস-ভাত, রামশাল চালের ভাত আর ‘ফিরনি’ খাওয়ার সময় মনে হয়েছিল যেন আমার গ্রামের মৌলভি সাহেব বর্ণিত ‘বেহেস্তি স্বাদ’ এ দুনিয়াতেই পেলাম। মৌলভি-মওলানারা বলতেন যে, সব ‘উমদা’-বস্তু ‘জান্নাতে’ই মেলে। সুবিধাভোগী লোক-লস্কর এই দুনিয়াতেই ‘বেহেস্তি’-সুখ ভোগ করে। যাক গে ওসব ভারী কথা।গ্রান্ট হল অর্থাৎ জলট্যাঙ্ক-এর মোড় থেকে খাগড়া যাওয়ার পথে গায়ে গায়ে লেগে থাকা বাড়ি আমার বিরক্তির কারণ হয়েছিল। অপরিমেয় আনন্দ আর আহ্লাদ হয়েছিল শহর বহরমপুরের আনাচে-কানাচে, সদর রাস্তার ওপর অজস্র বিশাল বিশাল বৃক্ষরাজি। উত্তরে ফরাসডাঙা থেকে দক্ষিণে গণি মিঞার ডাঙা— উত্তর-পূর্বে কাশিমবাজার থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমে কৃষ্ণনাথ কলেজ— কুমার হোস্টেল পর্যন্ত কত যে ‘রেনট্রি’ ছিল তার হদ্দমুদ্দ নেই। ঔপনিবেশিক শাসকবর্গ অস্ট্রেলিয়া থেকে পর্যন্ত গাছ-গাছালি নিয়ে এসেছিল। আমরা সেগুলোকে ধ্বংস করলাম। সেই বৃহৎ বৃহৎ বৃক্ষের কিছু কিছু এখনও বেঁচে রয়েছে ঠিকই কিন্তু সেই রাজকীর সৌন্দর্য, ঐশ্বর্য কোথায় হারিয়ে গেল। ওদের অনুপস্থিতি মনের ভিতরটিকে ঝুরঝুরে আর ভঙ্গুর করে দেয়। মানুষের লোভ-ই প্রকৃতি বা ‘কুদরত’-এর মহা শত্রু। গাছের বাঁচার দাবি নিয়ে কেউ আন্দোলন করে না। ১৯৫৮ সালে আমার বড় দাদা বহরমপুর স্টেশন থেকে জিয়াগঞ্জ-এ নিয়ে গেলেন। সেখান থেকে ভাগীরথী বা গঙ্গা নদী পেরিয়ে আজিমগঞ্জে ডা. টি. সেন-এর চেম্বারে। টি. সেনকে তামাম মুর্শিদাবাদ পরম বিশ্বাস আর শ্রদ্ধার চোখে দেখত। তিনি এই জেলায় ডা. কর্ণেল টি. সেন নামে পরিচিত ছিলেন। তার চিকিৎসাতেই আমার রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে গেল। খানা-পিনা বাড়ল। বয়স মোতাবেক ওজনাদিও বেড়ে গেল। স্বাভাবিক একজন তরুণ হিসাবে বেড়ে উঠতে থাকলাম। ১৯৫৩ সাল থেকে ১৯৫৮ সাল তক আমি চারটি শহর দেখলাম। রাজশাহি, বহরমপুর, জিয়াগঞ্জ এবং আজিমগঞ্জ। সেই সুবাদে ট্রেন, রেললাইনকেও চিনেছিলাম। যে চারটি শহর আমি দেখেছিলাম তার মধ্যে রাজশাহি সম্পর্কে ব্যাপক কোনও ইম্প্রেশন আমার স্মৃতিতে নেই। শুধুমাত্র বড় বড় বাড়ি দেখেই চমকিত হয়েছিলাম। সোজাসুজি বলতে কী এই সময়ের মধ্যে বহরমপুর কোর্ট স্টেশন দেখে মুগ্ধ হয়ে গেছিলাম। রেলগাড়ি চড়ার মধ্যে যে বিস্ময় আর শিহরণ, আজ এই ৭৬ বছর বয়সেও কাটল না। এখন উপলব্ধি করি রেলপথই আমার স্বদেশভূমির জীবনরেখা।
শহর বহরমপুর নিয়ে আমার একটা কৌতূহল তৈরি হয়েছিল। আমার বড় দাদা, মেজো দাদা কৃষ্ণনাথ কলেজের ছাত্র ছিলেন। খুব সম্ভব ১৯৬০ সালে ড. সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণান কৃষ্ণনাথ কলেজে এসেছিলেন। তাঁকে দেখার জন্য কাতলামারি থেকে আমাকে আমার বড় দাদা তাঁর হোস্টেলে নিয়ে এসেছিলেন। যে ছাত্র-হোস্টেলটির অবস্থান ছিল শহরের দক্ষিণ প্রান্তে গোরাবাজার এলাকার রাজা মিঞা মোড়ে। ঠিক তার পশ্চিমদিকে কুমার হোস্টেল। বিশেষ ঐতিহ্যপূর্ণ আর গুরুত্ববাহী। এই ছাত্রাবাসের মধোই মি. মোহাম্মদ আলি জিন্নাহ গত শতকের তিনের দশকের মাঝামাঝি সময়ে বক্তৃতা করতে এসেছিলেন। এহো বাহ্য। প্রসঙ্গে বলে রাখি বহরমপুর থেকে কাতলামারির দূরত্ব ৪০ কিমি। মোটর, বাস ছিল বটে কিন্তু তা সত্যিকার অর্থে স্বস্তিকর ছিল না, সময় লাগত খুবই। স্বভাবতই খুব প্রয়োজন ছাড়া বহরমপুরে যেতাম না। অষ্টম শ্রেণির পর একাদশ শ্রেণি তক শুধুমাত্র বইপত্তর, টেস্ট পেপার, সারা বছরের কাগজপত্র, বাঁধানো খাতা, সুলেখা কালির বোতল, ব্লটিং পেপার, ম্যাপ পয়েন্টিং-এর মানচিত্র কেনার জন্য বহরমপুর গেছি। কোন সালে মনে পড়ে না, শহরের মধ্যস্থলে অবস্থিত ‘কল্পনা’ সিনেমা হলে সুশীল দত্ত আর নূতন অভিনীত ‘সুজাতা’ শীর্ষক একটি ‘বই’ দেখেছিলাম। সেই সময়ে কোনো ‘ফিল্ম’-কে ‘বই’ এবং কিছু পরে ‘ছবি’ বলা হত। ক্লাস টেনের আগে আরও কিছু বাংলা; আর ‘মোহন’ হলে হিন্দি ছবি যেমন ‘বরসাত কী রাত’ দেখেছিলাম। আজ যেখানে ‘সুনীতা’ বস্ত্র বিপণি সেখানে ছিল ‘মীরা’ নামক একটি সিনেমা হল, সেখানে দেখেছিলাম ‘মুঘল-ই-আজম’। দিলীপকুমার এবং মধুবালা আমাদের যৌবনাবেগের ‘আইকনিক’ ব্যক্তিত্ব ছিলেন। ‘কল্পনা’-য় অন্য একটি ‘ফিল্ম’ দেখেছিলাম, সেটির নাম ছিল ‘শুন বর নারী’। খুব সম্ভব উত্তম-সুপ্রিয়া অভিনীত ছিল এই ‘ছবিটি’। ডা. এস. এন. ভট্টাচার্য রোডে ‘সূর্য’-হলে আমার জীবনে কোনও সিনেমা দেখিনি। সে সুযোগ আর কখনও হবে না। কেন না ‘ফ্ল্যাট কালচার’ বহরমপুরকে গ্রাস করেছে। বহুতল শহর বহরমপুরের আকাশকে ঢেকে দেবে। চাঁদ-তারা অদৃশ্য হবে। শিউলি গাছ থেকে ফুল ঝরে পড়বে না। গঙ্গার তীরবর্তী বনভূমিতে ফুল ফুটবে না। এখনই অদৃশ্য হয়েছে। সাকুল্যে দশ, বারোটি ফিল্ম দেখেছিলাম। নামও মনে আছে— সেটা বলা জরুরি নয়। আদতে তারুণ্যের স্বভাব বৈশিষ্ট্যের কথাটিই বোঝাতে চাইলাম। আর দারুণ চমকপ্রদ সার্কাস দেখেছিলাম ক্লাস নাইন-এ ছাত্র থাকাকালীন। ‘গ্রেট ইন্ডিয়া সার্কাস’। স্থানটি বহরমপুর ‘ধোবঘাটি’-র পূর্বদিকে ছিল মনে পড়ে। রেবা রক্ষিত নামীয় অনিন্দ্যসুন্দর এক মহিলা তুলতুলে বিছানায় শুয়ে পড়তেন। তার বক্ষদেশের ওপর রাখা হত কাঠের পাটাতন। রুদ্ধশ্বাসে দেখলাম তাঁর শায়িত শরীরের ওপর দিয়ে চলে গেল ওজনদার একটি হাতি। তিনি জানতেন না তৎকালীন তরুণবর্গ তাঁর জন্য কীভাবে ‘ফিদা’ হয়ে গিয়েছিল। খোলাখুলি বলতে কী ১৯৪৭ থেকে ১৯৬৫ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত এই শহর নিয়ে আমার আবেগতাড়িত বড় কোনও স্মৃতি নেই। ১৯৬৫ সালের মার্চ মাসে তৎকালীন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলাম বহরমপুর কলেজিয়েট স্কুলে— যদিও আমি কাতলামারি হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের ছাত্র ছিলাম। উক্ত স্কুলটির পাশ্চাত্য রীতির স্থাপত্যকর্ম দেখে চমকিত হয়েছিলাম। স্কুলটির ইমারতি আভিজাত্য সত্যিই আজও প্রশংসনীয়। যাইহোক, বহরমপুর সম্পর্কে কোনওরকম সুদৃঢ় ধারণা না নিয়েই উচ্চশিক্ষার জন্য কলকাতা চলে গেলাম। ব্যাপারটা দাঁড়াল এই রকম, ‘কাতলামারি থেকে কলকাতা’। ১৯৭৫-এর মার্চ মাসে শহর বহরমপুরে ডেরা বানালাম। সে বড় স্বস্তি-সুখের সময় ছিল না। মনে হত ‘এক অকেলা ইস শহর মে, দিল ঢুণ্ডতা হ্যায়।’ মৌলানা আজাদ কলেজের বন্ধুরা, কলকাতা বিশ্ববিদালয়ের বান্ধবী আর বন্ধুরা, দুটো অভিজাত সরকারি ছাত্রাবাসের সতীর্থরা ‘লাপাতা’ হয়ে গেল। ক্লিফ রিচার্ড, অজিত সিং, উষা আয়ারের (উত্থুপ) পার্ক স্ট্রিট নাগালের বাইরে। কফি হাউসের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই। হৃদয় কীসের সন্ধানে আগ্রহী ছিল তাও ঠাহর করতে পারতাম না। ব্যক্তিগত জীবনের একটি অপরিণামদর্শী, হঠকারী ‘খামকাজ’— আমার জীবনকে প্রায় ধ্বস্ত করে দিয়েছিল। সেই থেকে আজ তক গাত্রোত্থান করার কোনও যথার্থ মওকা পেলাম না। সময় এবং প্রকৃতি বোধহয় উপশমের পথ দেখিয়ে দেয়। সুফি-দরবেশ অধ্যাপক রেজাউল করীম-এর নিরন্তর সান্নিধ্য আমাকে শান্ত, ধীর স্থির হতে অশেষ সহায়ক হয়েছিল। তিনি আমার বৌদ্ধিক পিতাও বটে। সে কথা তিনি নিজেই কবুল করেছেন। শহর বহরমপুরের সঙ্গে আমার সম্পর্ক কিছু গ্রহণের আর কিছু বর্জনের৷ কখনও আকর্ষণের আবার কখনও বিকর্ষণের। আর সেই সম্পর্কের সূচনা হয়েছে ১৯৭৫ সালে। শহর বহরমপুরের পশ্চিম প্রান্ত দিয়ে সতত বহমান ভাগীরথী নদী। যেন জীবনের প্রতীক। স্থানিক পরিচয়ে গঙ্গা নদীর তীরে আমার ব্যক্তিজীবনের যাপননামাহ চলছে প্রায় আধ শতক ধরে। সে কিসসাই এই অধম বান্দার কহতব্য বিষয়। এত কিসসা কইতে হল শুধু শহর বহরমপুরকে স্মৃতিভাষ্যে নিয়ে আসার জন্যই।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct