আপনজন ডেস্ক: আগামী ৮ জুলাই অনুষ্ঠেয় পশ্চিমবঙ্গপঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালত মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার সময় বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়টি রাজ্য নির্বাচন কমিশনের (এসইসি) বিবেচনার উপর ছেড়ে দিয়েছে।প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ এসইসিকে নির্দেশ দিয়েছে যে গ্রামীণ নির্বাচনের জন্য পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ বাহিনীর সাথে একযোগে কাজ করার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন। এদিন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, সিভিক ভলেন্টিয়ারদের দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট করানো যাবে না। ভোট যাতে শান্তিপূর্ণ হয়, তার জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে বার্তা দেওয়া হয়েছে। এদিনের রায়ে, কার্যত বিরোধীদের কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতেই সিলমোহর দিয়ে দিয়েছে হাইকোর্ট। বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে যে, নির্বাচন কমিশন যে সব এলাকা ও জেলাকে স্পর্শকাতর বলে ঘোষণা করেছে, সেখানে প্রথমেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর চাহিদা ও মোতায়েন করতে হবে। সাত জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করাতে হবে বলে স্পষ্ট করে জানিয়েছে হাইকোর্ট। স্পর্শকাতর জেলা হিসেবে চিহ্নিত উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাংশ পূর্ব মেদিনীপুর, হুগলি, মুর্শিদাবাদ, জলাইগুড়ি ও বীরভূমে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।এর পরে, এসইসি রাজ্য কর্তৃক জমা দেওয়া মূল্যায়ন পরিকল্পনা পর্যালোচনা করবে এবং যেখানে রাজ্য পুলিশ বাহিনীর অপর্যাপ্ততা রয়েছে, সেই সমস্ত অঞ্চলে এসইসি আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েনের অনুরোধ করবে। নিয়ম হল, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য কমিশনকে চিঠি লিখবে রাজ্য। এর জন্য রাজ্যকে কোনও টাকা খরচ করতে হবে না। তবে চুক্তিভিত্তিক কর্মী এবং এনসিসি ছেলেদের চতুর্থ পোলিং অফিসারের পরবর্তী কোনও পদে কাজে লাগাতে পারে রাজ্য।কমিশনকে সমস্ত ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর জন্য বলা হয়েছে এবং যেখানে প্রযুক্তিগতভাবে এটি সম্ভব নয়, সেখানে মনোনয়ন থেকে ভোট গণনা পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়াটির ভিডিওগ্রাফি করতে হবে।অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগের আবেদনও প্রত্যাখ্যান করেছে হাইকোর্ট। বলা হয়েছে, ভোটের জন্য আলাদা করে কোনও বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করার প্রয়োজন নেই। কারণ, রাজ্য নির্বাচন কমিশনই ভোটের পর্যবেক্ষক নিয়োগ করে। সেখানে ডব্লুবিসিএস, আইএএস অফিসারদের নিয়োগ করা হয়।অন্যদিকে, মনোনয়নের সময়সীমা বাড়ানোর আর্জি জানিয়েছিলেন বিরোধীরা। কলকাতা হাইকার্ট জানিয়েছে, রাজ্য নির্বাচন কমিশন স্বতন্ত্র স্বাধীন সংস্থা। তাই মনোনয়ন নিয়ে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেবে কমিশনই। অনলাইনে মনোনায়ন দেওয়ারও আর্জি জানানো হয়েছিল। সেই আর্জি খারিজ করে দিয়েছে আদালত।হাইকোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় বাড়ানোর আবেদন বিবেচনা করা যাবে না, যার শেষ তারিখ ১৫ জুন।বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ বলেছে, সময় বাড়ানোর বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে এসইসি-র হাতে রয়েছে এবং তারা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম।সোমবার কলকাতা হাইকোর্টকে vfuZ জানিয়েছিল, পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ এক দিন বাড়িয়ে ১৬ জুন করা যেতে পারে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct