আপনজন ডেস্ক: করোনা মহামারির দুই বছর সীমিত অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে পবিত্র হজ। এবার করোনার আগের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সর্ববৃহৎ হজ। এবার ২০ লাখের বেশি মুসল্লি হজ পালন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। গত রবিবার বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার হজযাত্রীদের আগমনের মাধ্যমে শুরু হয়েছে এবারের হজের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম। জেদ্দাস্থ কিং আবদুল আজিজ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের হজ টার্মিনালে তাদের ফুল ও খেজুর উপহার দিয়ে বরণ করা হয় এবং ‘হজ মুবারক’ ও ‘হজ মাবরুর’ বলে শুভেচ্ছা জানানো হয়। সৌদি আরবের ইমিগ্রেশন, হজ ও উমরাহহ মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা তাঁদের স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন। মালয়েশিয়া থেকে হজযাত্রীদের প্রথম দল মদিনার প্রিন্স মোহাম্মদ বিন আবদুল আজিজ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে অবতরণ করে। মদিনা অঞ্চলের পাসপোর্ট বিভাগ এবং হজ ও উমরাহহ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা তাঁদের অভ্যর্থনা জানান। সৌদি ভিশন ২০৩০ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে হজযাত্রার পুরো কার্যক্রমকে আরো সহজ করতে এবং হজযাত্রীদের সর্বোচ্চ মানের সেবা দিতে ২০১৯ সালে দি মক্কা রুট উদ্যোগ চালু হয়। এর মাধ্যমে হজযাত্রীদের অনলাইন ভিসা থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য নির্দেশনা মেনে চলা ও নিজ দেশে যাত্রীর লাগেজ সাজানো নিশ্চিত করা হয়।এর আগে গত জানুয়ারি মাসে জেদ্দায় অনুষ্ঠিত হজ এক্সপোতে হজযাত্রীর সংখ্যা ও বয়সের বিধি-নিষেধ তুলে নিয়ে আগের মতো বৃহৎ পরিসরে হজ আয়োজনের ঘোষণা দেয় সৌদি আরবের হজ ও উমরাহহ বিষয়ক মন্ত্রী তাওফিক আল-রাবিয়াহ। ২০ লাখের বেশি লোক হজে অংশ নেবেন বলে আশা করেন তিনি। বিভিন্ন দেশের ১২ লাখের বেশি হজযাত্রী আনা-নেওয়ায় ১৭৬টির বেশি বিমান থাকবে। প্রথমবারের মতো জেদ্দা ও মদিনার পাশাপাশি রিয়াদ, তায়েফ, ইয়ানবু ও দাম্মামসহ সৌদি আরবের অভ্যন্তরীণ ছয়টি বিমানবন্দর হজযাত্রীদের সেবায় ব্যবহৃত হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct