নাজিম আক্তার, হরিশ্চন্দ্রপুর, আপনজন: বধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর গ্রামে একের পর এক যুবকের ভেঙে যাচ্ছে বিয়ে। চিন্তায় কপালে হাত পড়েছে ছেলের অভিভাবকদের। তাহলে কি ওই গ্ৰামের যুবকদের চিরকাল অবিবাহিত হয়ে থাকতে হবে? এই নিয়ে এলাকায় ঘুরপাক খাচ্ছে নানান প্রশ্ন।কেনই বা মেয়ের পরিবার ওই গ্রামে বিয়ে দিতে রাজি হচ্ছেন না। আসন ঘটনা জানলে আপনিও চমকে উঠবেন। উল্লেখ্য,গত বুধবার সাতসকালে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার তুলসীহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের পাড়ো গ্রামে এক নব বধূর রহস্য জনক মৃত্যুকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।মেয়ের বাবার পরিবারের অভিযোগ পণের দাবিতে নববধূ মুস্তরি খাতুনকে স্বামী মুতাহার আলি ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা একজোট হয়ে মুখে ও নাকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে। স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির সাতজনের নামে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মেয়ের বাবার পরিবার।ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন অভিযুক্তরা।পুলিশ রাতদিন ২৪ ঘন্টা টহলদারি শুরু করেছে ওই এলাকায়।এই নিয়ে এলাকায় শুরু হয়েছে আতঙ্ক।সন্ধ্যা হতেই রাস্তায় কোনো মানুষকে চলাফেরা করতে দেখা যায় না।নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক এক যুবক জানান,ওই নব বধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর থেকে গ্রামে শুধু হয়ে আতঙ্ক।যুবকদের বিয়ে ভাঙতে শুরু করেছে।কনে পক্ষ এই গ্রামের কোনো যুবকের সঙ্গে বিয়ে দিতে রাজি হচ্ছেন না। গ্রামের এক যুবকের বিয়ে বিহারের এক গ্রামে সব ঠিকঠাক হয়ে গিয়েছিল।বিয়ের লেনদেন থেকে শুরু করে সবকিছু প্রায় শেষের দিকে।শুধু বাকি ছিল বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক করা। আচমকা কনে পক্ষ ছেলে পক্ষকে ফোন করে জানান ওই গ্রামে মেয়ের বিয়ে দিতে পারবেন না।এই কথা শুনে ছেলে পক্ষের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে।ভেঙে যায় বিয়ে। অপরদিকে কোনো ঘটক এই গ্রামের যুবকদের হয়ে কোথাও প্রস্তাব নিয়ে যেতে রাজি হচ্ছেন না।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct