ইসরাফিল বৈদ্য, বসিরহাট, আপনজন: পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগমের ব্যবস্থাপনায় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ক্ষুদ্র ঋণ মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলায়। জেলাজুড়ে তিনটি ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হবে বলে প্রশাসনিক ভাবে জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার বসিরহাট ২, ব্লকের সদ্ভব মণ্ডপে মিনাখা, সন্দেশখালি, বাদুড়িয়া,বসিরহাট , হিঙ্গলগঞ্জ, হাসনাবাদ ব্লকের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের ঋণপ্রদানের কর্মসূচি চালু হয়। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সংখ্যালঘু বিষয়ক দফতরের বিশেষ সচিব সাকিল আহমেদ, উত্তর২৪ পরগনা জেলা পরিষদের বন ও ভূমি স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ একেএম ফারহাদ, জেলা সংখ্যালঘু আধিকারিক পূর্ণিমা দে, বসিরহাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সৌমেন মন্ডল, সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সৌমিত্র প্রদীপ, যুগ্ম সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক অর্নব বাবু, কার্তিক, আয়ুব, সানিয়া ইসলাম, রুনা পারভিন প্রমুখ। বিশেষ সচিব শাকিল আহমেদ জানান, জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা সংখ্যালঘু বিষয়ক এবং মাদ্রাসা শিক্ষাদপ্তরের আওতায় থাকা রাজ্য সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগম এদিনের ঋণ প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। নিগমের তরফে ঋণ ছাড়াও ‘স্কিল ডেভেলপমেন্ট ট্রেনিং’এর ব্যবস্থা করে থাকে। শাকিল আহমেদ বলেন, সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন সমীক্ষায় সমাজে সংখ্যালঘুদের পিছিয়ে পড়ার তথ্য উঠে এসেছে। সে কারণে সরকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য নানা প্রকল্প হাতে নিয়েছে। সংখ্যালঘু উন্নয়নে বিশেষ জোর দিয়েছে। তারই অঙ্গ হিসেবে এদিনের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। তিনি আরও বলেন,ঋণ প্রদানের ফলে সংখ্যালঘু পরিবারের মহিলারা বিশেষভাবে উপকৃত হওয়ার পাশাপাশি পরিবারের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাড়ির মহিলাদের স্বাবলম্বী হওয়াটা জরুরি। পরিবার উন্নত হলে সমাজেরও উন্নয়ন হবে। পরবর্তী প্রজন্ম শিক্ষা লাভ করবে। বাড়িতে শিক্ষার আলো পৌঁছলে পরিবারের সমৃদ্ধি ঘটবে। ফলে ঋণের টাকা সঠিকভাবে ব্যবহার করলে সার্বিক উন্নয়ন হবে। খাদ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থানের মতো প্রাথমিক প্রয়োজনগুলির জন্য পরিবারগুলিকে কারও মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে না। প্রতিটি গ্রুপে দশ জন সদস্যের মধ্যে ৬ জন সংখ্যালঘু এবং চারজন সংখ্যাগুরু নিয়েও দল গঠন করা যাবে বলে শাকিল আহমেদ জানান। জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ একেএম ফারহাদ বলে, অর্থনৈতিক বাধা থাকা সত্ত্বেও সংখ্যালঘুদের সার্বিক উন্নয়নে মুখ্যমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রয়াস সাধুবাদযোগ্য। আইএএস অফিসাররা যেভাবে দুয়ারে পৌঁছে ঋণ প্রদান কর্মসূচি পরিচালনা করছে তা বিগত দিনে কোন সরকারের আমলে দেখা যায়নি বলে তিনি জানান। ওই অনুষ্ঠান থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দেন লক্ষীর ভান্ডার এর অর্থ ৫০০ টাকা থেকে এক হাজার টাকা এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণীর জন্য বারোশো টাকা করায়।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct