দেবাশীষ পাল, মালদা, আপনজন: মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের উপর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের ছাড়লেন তৃণমূলের জেলার সম্পাদক ও সংখ্যালঘু সেলের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম। তাদের অভিযোগ প্রার্থী বাছাইয়ের অনিয়ম। শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনের মধ্যে দিয়ে এদিন দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন নজরুল ইসলাম। তার সঙ্গে তৃণমূল ছাড়লেন মালদা জেলা ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও মালদা জেলার সংখ্যালঘু সেলের সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলি, কালিয়াচক ২ ব্লকের মহিলা তৃণমূল সভাপতি মীনাক্ষী মন্ডল সহ একাধিক কর্মী। এদিন নজরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘এবারের নির্বাচনে অভিষেক ব্যানার্জীর জনমত উপেক্ষা করে মোথাবাড়ি সহ মালদা জেলায় ভিন্ন দল থেকে আগত সুযোগ সন্ধানীদের প্রার্থী করা হয়েছে। পুরানো তৃণমূল কর্মীদের কোন সুযোগ দেওয়া হয়নি। টাকার বিনিময়ে এই পার্থিপদ বিক্রি হয়ে গেছে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যাপক ভাবে জয় লাভ করেছিলাম। গতবারের পঞ্চায়েত সমিতি জেলা পরিষদের বেশিরভাগ প্রার্থীকে টিকিট দেওয়া হয়নি। বর্তমানে এই দলে থাকতে এখন লজ্জা করে। ’প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর স্থানীয় বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিন কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলের যোগদান করলে তৃণমূলের একটি অংশ প্রথম থেকেই সাবিনাকে মেনে নিতে পারেনি। সাবিনার দলের অন্তর্ভুক্তিতে কোতোয়ালি ভবন ঘেরাও সহ একাধিক কর্মসূচী নেই বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কংগ্রেসীরা। প্রথম থেকেই তৃণমূলের অন্দরমহলে সাবিনা ও সাবিনা বিরোধী দুটি বিবাদমান গোষ্ঠীর সৃষ্টি হয় মোথাবাড়িতে। সাবিনা ইয়াসমিন সামান্তরাল সংগঠন তৈরি করে বিক্ষুদ্ধদের সঙ্গে লড়াই করে। নিজ অনুগামীদের নিয়ে মোথাবাড়ি এলাকার সমস্ত গ্রামে সংগঠন সাজিয়ে নেয়। ধিরে ধিরে সাবিনা ইয়াসমিন অনুগামীরা মোথাবাড়ির সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল নেয়।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct