রঙ্গিলা খাতুন, বড়ঞা, আপনজন: মুর্শিবাদের এমনই গ্রাম রয়ছে, যেখানেই এখনই পর্যন্ত নেই রাস্তা ! যদিও নিয়মিত ভোটের আগে প্রতিশ্রতি মিললেও হয়না রাস্তা। বড়ঞা বিধানসভার বড়ঞা ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে হরিধ্বনি গুপিপুর গ্রামের মানুষজন চরম পরিণতির শিকার। চারিদিকে জল মাঝে গ্রাম। আশপাশের গ্রামে ঢালাই রাস্তা হলেও কোনো উন্নয়ন নেই এই গ্রামে। সকলের একই অভিযোগ ভোটের আগে রাস্তা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি তারপর দেখা মেলে না কারোর। প্রধান তো দূরহস্ত মেম্বারও ভুলেও আসেন না সমস্যা খতিয়ে দেখতে। ডাঙাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল আলি জানান, “হরিধ্বনি গ্রামের উপর দিয়েই বড় রাস্তায় ওঠা যায়। নেতারা পয়সা খেয়ে বসে আছে। বর্ষা পড়লে রাস্তা দিয়ে চলা যায়না। গ্রামীন রাস্তাগুলির অবস্থা খারাপ। সবটা তৃনমুলের এলাকা সকলে দূর্নীতিগ্রস্থ।” সান্ত্বনা প্রামানিক ও শৈবা বাগদীর কথায়, গ্রামের চারিদিকে জল সেই সঙ্গে বর্ষা পড়লেই প্লাবিত হয়ে পড়ে পুরো গ্রাম।
বাড়ীর বাইটে বেরোনো যায়না। ভোটের পর আর ফিরেও তাকায়না কেউ। রোগীদের সমস্যায় পড়তে হয়। এমনতেই রাস্তা খারাপের জন্য বড় গাড়ী আসে না৷ বর্ষার সময় জল ভরে যায় ফলে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়তে হয়। কোথাও গেলে কাদা মাড়িয়ে যেতে হয়। কোনোদিনই সংস্কার হয়নি রাস্তা। ভুবনেশ্বর বাগদী অবশ্য বলেন, পঞ্চায়েত কোনো কাজ করেনা৷ জল কাদা মিশে এক হাঁটু হয়ে যায়। জন্ম থেকে এ গ্রামের বাসিন্দা কোনো দিন কেউই ওদের দিকে ফিরে তাকায়নি। এ বিষয় মাহে আলমের বক্তব্য,” বিরোধীরা শাসক দলের কাজের বিষয়ে বিরোধীতা করছে। কাজ সব জায়গায় হয়েছে এবং চলছে। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষনার পর থেকে শুরু হয়েছে নতুন করে টেন্ডার করে রাস্তার কাজ। ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের ব্যবস্থাপনায় প্রচুর উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে। কয়েক জায়গায় বাদ রয়েছে সে সব জায়গাতেও কাজ হবে৷ ১০ জনের মধ্যে ৮ জন তৃনমূল হলে ২ জন অন্যদলের হবে। ফলে তারাই উস্কানিতে ভুল প্রচার করছে।”
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct