আপনজন ডেস্ক: অভিধানে ‘পুরুষ’ ও ‘নারী’র সংজ্ঞা লিঙ্গের ওপর ভিত্তি করেই নির্ধারণ হয়। এবার সেই সংজ্ঞায় একটু পরিবর্তন আনার চেষ্টা করল কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিধানে ‘পুরুষ’ ও ‘নারী’র সংজ্ঞায় জন্মগত লিঙ্গ পরিচয় ছাড়াও রূপান্তরকামী মানুষ ও লিঙ্গান্তরিত মানুষের পরিচয়ও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নতুন সংযোজিত সংজ্ঞা অনুযায়ী, এখন অভিধানটিতে পুরুষের নতুন সংজ্ঞা হলো- যিনি নিজেকে পুরুষ হিসেবে চিহ্নিত করেন। অর্থাৎ বলা যায়, এ ক্ষেত্রে তিনি জন্মগতভাবে কোন লিঙ্গের তা বিবেচ্য নয়। একইভাবে নারীর নতুন সংজ্ঞা হলো- যে মানুষ নিজেকে নারী হিসেবে চিহ্নিত করেন। সহজ কথায়, রূপান্তরকামী ও লিঙ্গান্তরিত নারী-পুরুষও এ ‘পরিবর্তিত’ সংজ্ঞা দুটিতে অন্তর্ভুক্ত। উদাহরণ দিয়েও বোঝানো হয়েছে যে, লিঙ্গ পরিচয় শুধু যৌন চিহ্নের ওপর নির্ভরশীল নয়। লিঙ্গের ওপর ভিত্তি করে পুরুষ বা নারী পরিচয় ধার্য করা যথাযথ কিনা, সে বিতর্ক পুরোনো।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct