আপনজন ডেস্ক: রাজধানী দিল্লিতে কোভিড সংক্রমণের সংখ্যা ১০০-তে পৌঁছানোর পর,দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্ত সোমবার জনগণকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, সরকার পরিস্থিতি নিয়মিত নজরদারি করছে। মানুষকে আতঙ্কিত না হওয়ার আর্জি জানিয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে সোমবার বলেন, কোভিড-১৯ সতর্কতায় রাজধানীর সব হাসপাতালে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে এবং সরকার পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। তিনি আরও বলেন, রাজ্য হাসপাতালগুলি কোভিড-১৯ মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, দিল্লিতে ১০৪ আক্রান্তের সংখ্যা রয়েছে। এ প্রসঙ্গে রেখা গুপ্ত বলেন, আমরা পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করেছি এবং এখানে কোনো আতঙ্কের মতো পরিস্থিতি নেই।
গত সপ্তাহে, দিল্লি সরকার কোভিড-১৯ রোগ সম্পর্কিত একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে, জাতীয় রাজধানীর হাসপাতালগুলিকে বিছানা, অক্সিজেন, ওষুধ এবং টিকা নিশ্চিত করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। হাসপাতালগুলি সব পজিটিভ কোভিড-১৯ নমুনা লোক নায়ক হাসপাতালে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য যাতে পাঠায় তার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালগুলিকে বিছানা, অক্সিজেন, অ্যান্টিবায়োটিক, অন্যান্য ওষুধ এবং টিকা সম্পর্কে প্রস্তুতির নিশ্চয়তা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সমস্ত যন্ত্রপাতি, যেমন ভেন্টিলেটর, বাই-প্যাপ, অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর এবং পিএসএগুলি কার্যকর অবস্থায় থাকা উচিত বলে নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে।
দিল্লির স্বাস্থ্য মন্ত্রী পঙ্কজ সিং জানান, সরকার সংক্রমণের বিস্তারিত খতিয়ে দেখছে যাতে নির্ধারণ করা যায় যে রোগীরা শহরের বাসিন্দা কিনা বা তাদের ভ্রমণের ইতিহাস রয়েছে কিনা। এদিকে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দেশের বিভিন্ন স্থানে ১,০০৯টি কোভিড কেস রিপোর্ট করেছে যার মধ্যে কেরালায় (৪৩০) এবং মহারাষ্ট্রে (২০৯) সর্বোচ্চ সংখ্যা রয়েছে। মহারাষ্ট্র থেকে (৪), কেরালায় (২), এবং কর্নাটক থেকে (১) সাতজনের মৃত্যুর খবরও পাওয়া গেছে। ভারতের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের অধীনে প্রতিষ্ঠিত ভারতীয় SARS-CoV-2 জেনোমিকস কনসোর্টিয়াম-এর সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, NB.1.8.1 এবং LF.7 দেশে JN.1 কোভিড ভেরিয়েন্টের উত্তরসূরী। আর তা SARS-CoV-2 সংক্রমণ বৃদ্ধি জন্য দায়ী। কোভিড ভাইরাসের জেনোমিক পরিবর্তনগুলি নজর রাখার জন্য ৬৪টি পরীক্ষাগার নিয়ে গঠিত হয়েছে নোমিকস কনসোর্টিয়াম।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct