সঞ্জীব মল্লিক , বাঁকুড়া আপনজন: ছাদ চুঁইয়ে পড়ছে জল, সিলিং এর অংশও ভেঙ্গে পড়ছে যখন তখন, দেওয়াল জুড়ে শ্যাওলার ছোপ ছোপ দাগ- এর মধ্যেও এক প্রকার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত ৮৪ জন শিক্ষার্থী পড়াশুনা করছে। ছবিটা বাঁকুড়ার রানীবাঁধের ঝিলিমিলি নিম্ন বুনিয়াদী বিদ্যালয়ের । স্থানীয় সূত্রে খবর, জেলার জঙ্গল মহলের অন্যতম প্রাচীণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঝিলিমিলি নিম্ন বুনিয়াদী বিদ্যালয়। এখান থেকে প্রাথমিক শিক্ষার পাঠ নিয়ে বর্তমানে চিকিৎসক, শিক্ষক, ইঞ্জিনিয়ার সহ বিভিন্ন পেশায় দেশের নানান প্রান্তে কর্মরত আছেন। বর্তমানে তিন জন শিক্ষক ও এক জন পার্শ্ব শিক্ষক রয়েছেন। পড়াশুনার মান যথেষ্ট সন্তোষজনক হলেও ভগ্নপ্রায় স্কুল বাড়িতে ছেলে মেয়েদের পাঠাতে তারা ভয় করেন বলে অভিভাবকেরা জানিয়েছেন । প্রধান শিক্ষক সুনীল বরণ মণ্ডল বলেন, যা পরিস্থিতি তাতে ছাত্র ছাত্রীদের সূরক্ষার কথা ভেবে একটি ঘর বন্ধ রাখতে হয়েছে। অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক, দায়িত্বপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার থেকে বিডিও প্রত্যেককেই স্কুল বাড়ির ভগ্ন দশার কথা জানিয়েছি। এখনো কাজ হয়নি বলে তিনি জানান । সিপিআইএমের রানীবাঁধ এরিয়া কমিটির সম্পাদক মধুসূদন মাহাতোর বর্তমান যা পরিস্থিতি তাতে আশ্চর্যের কিছু নেই। একের পর এক স্কুল বন্ধ, হোষ্টেল গুলিও বন্ধের মুখে বলে তিনি দাবি করেন। তৃণমূল রানিবাঁধ ব্লক সভাপতি ও বাঁকুড়া জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ চিত্ত মাহাতো ঝিলিমিলি নিম্ন বুনিয়াদী বিদ্যালয়ের সমস্যার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, সর্বশিক্ষা মিশন এই পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ করে। তারা না পারলে রাজ্য সরকার এই কাজ করবে বলে তিনি জানান । রানীবাঁধ চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক সুমন চট্টোপাধ্যায় এবিষয়ে টেলিফোনে বলেন, ঝিলিমিলি নিম্ন বুনিয়াদী বিদ্যালয়ের বিষয়টি জেলা স্তরে জানানো হয়েছে। আশা করা যায় খুব দ্রুত সমস্যা সমাধান হবে বলে তিনি জানান ।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct