আপনজন ডেস্ক: ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় এখনও পর্যন্ত প্রায় পাঁচ হাজার মানুষের প্রাণহানির কথা জানা গিয়েছে। ৭ দশমিক ৮ মাত্রার এ ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ার বিভিন্ন বহুতল ধসে পড়ে মানুষ হতাহত যেমন হয়েছে, তেমনি ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে বহু শতাব্দী পুরনো মসজিদ-দুর্গসহ নানান স্থাপনা। তুরস্কের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় মালাতিয়া প্রদেশের কাহরামানমারাস জেলার পাজারসিক এলাকায় সুলতানি আমলের ইয়েনি মসজিদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মালাতিয়ার ইয়েনি মসজিদটি ১৯৬৪ সালের ১৪ মার্চের ভূমিকম্পেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এই জায়গাটিতে অবস্থিত হাজি ইউসুফ মসজিদ ১৮৯৪ সালের ৩ মার্চ তুরস্কে হওয়া ‘মহা ভূমিকম্পে’ একেবারে ধ্বংস হয়ে যায়। সেখানে নতুন করে গড়ে তোলা হয় ইয়েনি মসজিদ। ১৮৯৪ সালের ঘটনায় স্থানীয়দের সহযোগিতায় মসজিদ পুননির্মাণ শুরু হলেও সুলতান আব্দুল হামিদ দ্বিতীয় ব্যাপকভাবে সহযোগিতা করলে বর্তমান অবয়ব দাঁড়ায়। জানা যায়, সুলতান মসজিদের কাজের জন্য ১০ হাজার স্বর্ণমুদ্রা পাঠিয়েছিলেন। এদিসা অঞ্চলের সানলিরফা এলাকায় ভূমিকম্পের সময় একটি মসজিদের মিনারের নিচে পড়ে রাজিয়ে তানলাপ নামের একজন শিক্ষক মারা গেছেন। অন্যদিকে আদানা প্রদেশের চিয়াহান জেলায় একটি মসজিদের দেওয়াল পড়ে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। সিরিয়ার ডিরেক্টরেট জেনারেল অব অ্যান্টিকস অ্যান্ড মিউজিয়ামস (ডিজিএএম) জানায়, সোমবার ভোরের ভূমিকম্পে আলেপ্পোর ত্রয়োদশ শতাব্দীর দুর্গসহ বেশকিছু প্রত্মতাত্তিক স্থাপনা ভেঙে গেছে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct