আপনজন ডেস্ক: যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির দাবিতে ইসরায়েলে বিক্ষোভ দেখিয়েছে লক্ষাধিক মানুষ। দেশটির রাজধানী তেল আবিবে শনিবারের (২৯ জুন) ওই বিক্ষোভে লক্ষাধিক মানুষ অংশ যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির পাশাপাশি দেশটিতে আগাম নির্বাচন দেয়ারও দাবি জানিয়েছেন।
শনিবার রাজধানী তেল আবিবে প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার বিক্ষোভকারী জমায়েত হন। সেখানে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামনে একটি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। গাজায় হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের পরিবারের সদস্যরা সেখানে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন।
গাজায় ৯ মাস ধরে চলা যুদ্ধ বন্ধে যেকোনো প্রস্তাব নিয়ে হামাস আলোচনায় প্রস্তুত বলে জানান স্বাধীনতাকামী সংগঠনটির নেতা হামদান। তিনি বলেন, ‘স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, গাজা উপত্যকা থেকে সম্পূর্ণ সেনা প্রত্যাহার এবং অর্থবহ বন্দী বিনিময় সমঝোতা নিশ্চিত করবে—এমন যেকোনো ধরনের প্রস্তাব ইতিবাচকভাবে নিতে আবারও প্রস্তুত রয়েছে হামাস।’
বক্তব্যকালে এক জিম্মির স্বজন বলেন, বন্দী বিনিময় চুক্তির অংশ হিসেবে যুদ্ধ বন্ধ না করতে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর জেদ আমাদের এবং আমাদের প্রিয়জনের মাঝখানে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রসহ আরব মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো এখন পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি নিয়ে দুই পক্ষকে রাজি করাতে ব্যর্থ হয়েছে। এই অচলাবস্থার জন্য ইসরায়েল ও হামাস পরস্পরকে দায়ী করছে। হামাস বলছে, যেকোনো ধরনের চুক্তিতে অবশ্যই যুদ্ধ বন্ধ এবং ইসরায়েলি সেনাদের পুরোপুরি প্রত্যাহারের বিষয়টি থাকতে হবে।
এদিকে হামাসকে নির্মূল না করা পর্যন্ত শুধু সাময়িক অস্ত্রবিরতি মেনে নেয়ার কথা বলছে ইসরায়েল। ২০০৭ সাল থেকে গাজায় সরকার পরিচালনা করে আসছে হামাস।
ইসরায়েলের শর্ত মেনে নিতে হামাসের ওপর চাপ প্রয়োগ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেন হামদান। তিনি আরও বলেন, মধ্যস্থতাকারীদের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি নিয়ে নতুন করে কোনো প্রস্তাব পায়নি স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct