আপনজন ডেস্ক: উত্তর প্রদেশের সোনভদ্র জেলার একটি বিশেষ আদালত ২০১৪ সালে ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে বিজেপি বিধায়ক রামদুলার গোন্ডকে ২৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে।২০২২ সালে দুধি আসন থেকে জয়ী হয়ে প্রথমবারের মতো বিধায়ক হওয়া গোন্ড জামিনে মুক্তি পেয়েছিলেন এবং এমপি-এমএলএ আদালতের অতিরিক্ত জেলা জজ (প্রথম) এহসান উল্লাহ খান তাকে দোষী সাব্যস্ত করার পরেই তাকে হেফাজতে নিয়ে কারাগারে প্রেরণ করেছিলেন।সুপ্রিম কোর্টের ২০১৩ সালের রায় অনুসারে গোন্ড স্বয়ংক্রিয়ভাবে তার বিধানসভার সদস্যপদ হারাবেন। কারণ, কোনও সাংসদ বা বিধায়ক কোনও অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হন ও ন্যূনতম দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন তবে অবিলম্বে নির্বাচিত প্রতিনিধিত্ব খারিজ হয়ে যায়।ধর্ষিতার আইনজীবী বিকাশ শাক্য জানিয়েছেন, পকসো আইনের পাশাপাশি ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ (ধর্ষণ) ও ৫০৬ (অপরাধমূলক হুমকি) ধারায় বিধায়ককে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের আটজন ও আসামিপক্ষের তিনজন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে এ রায় ঘোষণা করা হয়। ধর্ষিতা এখন বিবাহিত এবং আট বছর বয়সি একটি মেয়ের মা। ধর্ষিতার ভাই বলেন, তিনি আশা করেছিলেন আদালত গোন্ডের বিরুদ্ধে কমপক্ষে ২০ বছরের কারাদণ্ড ঘোষণা করবে। এই রায়ে তাই তনি খুশি। প্রসিকিউশন টিমের এক সদস্য জানিয়েছেন, ২০১৪ সালের ৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় গ্রামের মাঠে ওই মহিলাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করেন বিধায়ক। অপরাধের সময় গোন্ডের স্ত্রী গ্রাম প্রধান (প্রধান) ছিলেন। বেঁচে যাওয়া মেয়েটি বাড়ি ফিরে এসে তার বড় ভাই, একজন কৃষককে তার দুর্দশার কথা জানায়। আরও জানায়, গত কয়েক মাসে হুমকি ও ভয় ভীতি দেখিয়ে ওই রাজনীতিবিদ তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন। মেয়েটির ভাইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে ময়ূরপুর পুলিশ গোন্ডের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর সত্যপ্রকাশ ত্রিপাঠি জানিয়েছেন, বিচার চলাকালীন যখন মেয়েটির বয়ান রেকর্ড করা হয়, ততক্ষণে মেয়েটির বিয়ে হয়ে গিয়েছিল। তিনি এখন তার পরিবারের সঙ্গেই থাকেন।গোন্ড বিধায়ক নির্বাচিত হওয়ার পরে মামলাটি পকসো আদালত থেকে এমপি-এমএলএ আদালতে স্থানান্তরিত হয়। তারপর থেকে চলে মামলার রায় বেরনোর ফলে কারাদণ্ড ভগতে হবে তাকে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct