সুব্রত রায়, কলকাতা, আপনজন: এই শিক্ষা নিয়োগ নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তাতে তৃণমূলের অবস্থান স্পষ্ট। কোনো অন্যায় কে প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। আইন আইনের পথে চলবে। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে এই মন্তব্য করলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ। তিনি বলেন, একতরফা একটা তৃণমূলের বিরুদ্ধে কুৎসা অপপ্রচার চলছিল। যে আদালত শাসক দলের বিরুদ্ধে কথা বলছিলেন। সেই আদালত বলছে যে সিবিআই কি করছে। যখন দিলীপ ঘোষের বাড়ি থেকে প্রসন্ন রায়ের নথি বেরোচ্ছে। তখন সিবিআই নিশ্চুপ রয়েছে। বামফ্রন্টের আমলে, সিপিআইএম এর হোল টাইমারের ঘরে প্রত্যেক বাড়িতে চাকরি ছিল। মধ্যপ্রদেশে ব্যাপাম কেলেংকারি হয়। ত্রিপুরায় দুর্নীতি হয়েছে। একের পর এক সিপিএম এর বাড়ির লোকের চাকরি হয়েছে। দিলীপ সেন জেলা কমিটির সম্পাদক ছিলেন। বিজলী সেন তার স্ত্রী। তার ভাই দীপক সেন প্রাইমারি শিক্ষক ছিলেন। সিটু লিডার স্কুল টিচার ছিলেন। কুনাল অভিযোগ করেন, সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর গড়িয়া অ্যান্ড্রুজ কলেজ তার চাকরি হয়েছে। আমি সুজন দা বা বৌদিকে আক্রমণ করার পক্ষ নই। কিন্তু যেভাবে ব্যাক্তি আক্রমণ হয়েছে। যারা কাদা ছুঁড়ছে তারা কাঁচের ঘরে বসে ঢিল ছুড়ছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় যে অভিযোগ এনেছেন, সেটা নিয়ে সুজন বাবু বলেছেন, আমাদের চাকরির কাগজ আছে। আমরা জানতে চাই তার স্ত্রী কোন প্রসেসে চাকরি পেয়েছেন? তিনি যে পদে কাজ করতেন তার নিয়োগ প্রক্রিয়া কি ছিল বা পদ্ধতি কি ছিল? আমাদের কাছে যে নথি অভিযোগ এসেছে। যে কোনো রকম পরীক্ষা ছাড়া পার্টি থেকে চাকরি পাওয়া গেছে। এই চিঠি আমরা শিক্ষামন্ত্রীকে দিয়েছি। তিনি তদন্ত করে দেখবেন। সুজনবাবুকে বলব, তার পরিবারে কে কোন চাকরি করছেন তার শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন। আমরা কাউকে রক্ষা করছি না। কিন্তু আপনারা অন্যদিকে কালি ছুড়বেন। তাহলে আমরা এই ধরনের দুর্নীতি প্রকাশ করে সাধারণ মানুষের সামনে নিয়ে আসব। এই সিপিএম চোর এই বিজেপি চোর এটা নিয়ে পাড়া পাড়ায় প্রচার হবে।
এই তদন্তে বাম জামানাতে যে নথি উঠে আসছে সেখান থেকে করতে হবে। মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক যে অভিযোগ তুলেছেন,তার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করুক ইডি ও সিবিআই। নিজেদের কলঙ্ককে আড়াল করতে তৃণমূলকে কলিমালিত্ত করার চেষ্টা করছেন। সিপিএম বলছে প্রমাণ দিন। যেখানে কমরেড সেখানে সরকারি চাকরি। আপনাদের সময় ক্যামেরা কম্পিউটার সেগুলো ছিল না। শুধু কাগজ আর চিরকুট দিয়ে চাকরি হয়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সমর্থন করা বা সমর্থন করার বিষয়ে আমরা নেই। একজন অভিযুক্ত হিসাবে তিনি এমন কিছু নাম বলেছেন দিলীপ ঘোষ, সুজন চক্রবর্তীকে, শুভেন্দু অধিকারীর নাম বলছেন। তখন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে এই তিনজনকে গ্রেফতার করে মুখোমুখি বসাতে হবে। এরা প্রভাবশালী যাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কেনো দিলীপ ঘোষ কে গ্রেফতার করা হয়নি। দিলীপ ঘোষ , শুভেন্দু অধিকারী ও সুজন ঘোষকে গ্রেফতার করে তদন্ত করতে হবে বলে দাবি জানান কুণাল ঘোষ। আমি যেটা টুইটারে বলছি সেটা আমি দশ দিন আগে থেকে বলেছি। পার্থ চট্টোপাধ্যায় অভিমুখতো এক। উল্টো হবে কি করে ?বাম জামানায় সজন পোষণ হয়েছে। দিলীপ ঘোষ বা শুভেন্দু অধিকারী যখন বলে এর বাড়িতে সিবিআই যাবে তখন তাদের মনে হয় না। আমার টুইটারে একটা নাম বেশি ছিল বললেন কুণাল ঘোষ। বিমান বসুকে জিজ্ঞেস করবেন, রশিদ খানের বিস্ফোরণের সময় একজনকে গ্রেফতার করেননি তারা। বিমান বসুর ৩৪ বছর ধরে জঙ্গিদের প্রশ্রয় দিয়েছেন। আমরা এতদিন বলিনি কারণ আমরা কাদা ছুড়াছুড়ি করতে চাইনি। তাই বিমান বোস বৃদ্ধ মানুষ তাকে অসম্মান করতে চাইনি । কিন্তু যদি তারা আমাদের কলিমালিত্তি করার চেষ্টা করে আমরা ছেড়ে কথা বলব না। বিজেপি কমিটি করার জন্য ফেসবুকঅ্যাকাউন্ট বলতে হয়। সেই বিজেপি ধর্না করে কি লাভ। বাম জামানায় যে সোজন পোষণ হয়েছে। এর সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সহমত হওয়ার কথা নয়। আমি বলছি যে তিন জনের নাম বলেছেন তাদেরকে মুখোমুখি বসানো হোক। তার বক্তব্য কতটা সঠিক সে তদন্ত করে দেখা উচিত। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্য দের জ্ঞান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিতে হবে না। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের রাজনীতিক জীবনে অনেক সংগ্রাম ও ধর্না দিয়েছেন। তাদের জ্ঞান দিতে বারন করুন, মন্তব্য কুনাল ঘোষের।অবার দুয়ারে সরকার হচ্ছে রাজ্য সরকার বেশ করছে। গরীব মানুষের আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিত রাখছেন। ১০০ বার করবেন। এখন তারা জ্ঞান দিয়েছেন। যখন করোনা সময় তারা বাড়িতে বসে মাইনে নিয়েছেন। তখন তো তারা বলেননি যে টাকা অপচয় হয়েছে বলেন কুণাল ঘোষ।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct