আপনজন ডেস্ক: অনুমোদন ছাড়া হজ পালনের চেষ্টা কিংবা এর সহায়তাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার থেকে শুরু করে প্রায় ১০ জুন পর্যন্ত এই নিয়ম কার্যকর থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে আরব নিউজ।
মন্ত্রণালয়ের ঘোষণা অনুযায়ী, অনুমতি ছাড়া হজ পালনের চেষ্টা করলে বা হজ পালনের উদ্দেশ্যে মক্কা নগরী ও পবিত্র স্থানগুলোতে প্রবেশ করলে সর্বোচ্চ ২০ হাজার সৌদি রিয়াল (প্রায় ৫,৩৩১ মার্কিন ডলার) পর্যন্ত জরিমানা করা হবে। এই নিয়ম ভিজিট ভিসাধারীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য, যারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মক্কা ও পবিত্র স্থানগুলোতে প্রবেশ বা অবস্থান করতে চাইবেন।
এছাড়া, যারা এমন ব্যক্তিদের জন্য ভিজিট ভিসার আবেদন করবেন—যারা হজের অনুমতি ছাড়া হজ পালনের চেষ্টা করেছেন বা মক্কা ও পবিত্র স্থানগুলোতে অবস্থান করেছেন—তাদের সর্বোচ্চ ১ লাখ সৌদি রিয়াল পর্যন্ত জরিমানা করা হবে। প্রতিটি ব্যক্তির ক্ষেত্রে জরিমানার পরিমাণ গুণিত হবে। একই জরিমানা প্রযোজ্য হবে তাদের ক্ষেত্রেও, যারা ভিজিট ভিসাধারীদের মক্কা ও পবিত্র স্থানগুলোতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য পরিবহন করেন বা করতে যান, কিংবা তাদের হোটেল, অ্যাপার্টমেন্ট, বাসা, অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র বা হজযাত্রীদের আবাসনে আশ্রয় দেন বা দিতে যান।
এমনকি যারা তাদের অবস্থান গোপন করেন বা থাকার জন্য সহায়তা করেন, তারাও এই জরিমানার আওতায় পড়বেন। প্রতিটি আশ্রিত, গোপনকৃত বা সহায়তা পাওয়া ব্যক্তির জন্য জরিমানার পরিমাণ গুণিত হবে।
এছাড়াও, যারা অবৈধভাবে হজ পালনের চেষ্টা করবেন—তারা সৌদি আরবে বৈধভাবে বসবাসকারী হোন বা ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণ হোন—তাদের বিরুদ্ধে পৃথক শাস্তির বিধান রয়েছে। এসব ব্যক্তিকে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে এবং ১০ বছরের জন্য সৌদি আরবে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হবে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যদি হজ মৌসুমে ভিজিট ভিসাধারীদের পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত যানবাহনটি অভিযুক্ত পরিবহনকারী, সহায়তাকারী বা সহযোগীর মালিকানাধীন হয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট আদালতে সেটি জব্দ করার আবেদন জানানো হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct