আপনজন ডেস্ক: ‘এস্পাই বার্সা’ পরিকল্পনাটা অবশেষে বাস্তবায়িত করার অর্থ হাতে এসেছে বার্সেলোনার। ক্লাবের নিজস্ব স্টেডিয়াম ক্যাম্প ন্যুকে আরও আধুনিকায়ন, সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি ও দর্শক আসন বাড়িয়ে এটিকে বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্রীড়াকেন্দ্র পরিণত করার যে পরিকল্পনা ক্লাবের ছিল, সেটি বাস্তবায়ন শুরু হচ্ছে আগামী ১ জুন থেকে। এই সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থও জোগাড় করে ফেলেছে বার্সা। বিভিন্ন করপোরেট প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ঋণ হিসাবে পাওয়া এই অর্থের পরিমাণ প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা (১৬,৯১৮ কোটি টাকা)। বার্সেলোনা ক্লাব কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ২০টি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এই অর্থ জোগাড় করা হয়েছে ঋণ হিসাবে। এই অর্থ বার্সেলোনা ৫ থেকে ২৪ বছর ধরে শোধ করবে। ন্যু ক্যাম্প সংস্কার শেষ হলেই ঋণ শোধ শুরু হবে। বার্সা আশা করছে, ২০২৬ সালের মধ্যে এই সংস্কারকাজ শেষ হবে। এ সময় বার্সেলোনা খেলবে অলিম্পিক স্টেডিয়ামে। ২০২৪-২৫ মৌসুমে খেলা আবারও ক্যাম্প ন্যুতে ফিরবে দল। যদিও সে সময় স্টেডিয়ামে সংস্কারকাজ চলবে। বর্তমানে ক্যাম্প ন্যুর দর্শক ধারণক্ষমতা ৯৯ হাজার। এস্পাই বার্সা পরিকল্পনায় এটিকে এক লাখে উন্নীত করার ব্যাপারটি আছে। একই সঙ্গে এই অর্থের একটা বড় অংশ ব্যয় করা হবে বার্সেলোনার বাস্কেটবল ও হ্যান্ডবল দলের স্টেডিয়াম সংস্কারে। একটা অংশ ব্যয় করা হবে ইয়োহান ক্রুইফ স্টেডিয়ামের উন্নয়নে। যেখানে বার্সেলোনার বয়সভিত্তিক দলগুলো খেলে থাকে। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের অনুকরণেই বার্সেলোনার এই উদ্যোগ। ২০১৯ সালে রিয়াল তাদের বিখ্যাত সান্তিয়াগো বার্নাব্যু স্টেডিয়ামের সংস্কারকাজ শুরু করে। ২০২১ সালে বার্সেলোনা আর্থিক সংকটে পড়ে। ৪৮ কোটি ইউরো ক্ষতির সম্মুখীন হয় দলটি। সে সময় তাদের ছেড়ে দিতে হয় লিওনেল মেসিকে। গত মৌসুমে সেই ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার জন্য লা লিগা টেলিভিশন–স্বত্বের ২৫ শতাংশ বিক্রি করে দেয়। একই সঙ্গে বার্সা স্টুডিওর ৪৯ শতাংশও বার্সেলোনা বিক্রি করেছিল। এই দুই বাবদ বার্সেলোনা ৭৫ কোটি ইউরো তাদের কোষাগারে যোগ করে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct