রঙ্গিলা খাতুন, ভরতপুর, আপনজন: ভরতপুর থানার সিজগ্রামের মোল্লাপাড়া ছেলে বাবুসোনা মহারাষ্ট্রের পুনাতে দিনমজুরের কাজ করতে গিয়ে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক পরিযায়ী শ্রমিকের। বৃহস্পতিবার রাতে মৃত্যুর খবর বাড়িতে পৌঁছতেই শোকের ছায়া নেমে আসে গোটা গ্রাম জুড়ে। পুলিশ জানিয়েছে ,দুর্ঘটনায় বাবু সোনা সেখ নামে ২৮ বছরের যুবক পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বাড়ি ভরতপুর থানার সিজগ্রাম গ্রামে। মৃতদেহ মহারাষ্ট্রের পুনা থেকে ফিরিয়ে আনার জন্য সব ধরনের প্রচেষ্টা শুরু করা হয়েছে। মুর্শিদাবাদের ভরতপুর থানার সিজগ্রাম গ্রামের মোল্লাপাড়া বাসিন্দা দিলেন বাবুসোনা সেখ(২৮)। অভাবের সংসারের হাল ফেরানোর জন্য ভরতপুর গ্রামেই কখনো রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন আবার কখনো বিদ্যুৎ দপ্তরের অস্থায়ী লেবারের কাজ করতেন বাবুসোনা। বাড়িতে রয়েছে ভাই মা-বাবার স্ত্রী। পরিবারের বড় ছেলে ছিল বাবুসোনা ।এখানে রোজগার কম হওয়ায় গ্রামের বন্ধুদের সাথে দুমাস আগেই মহারাষ্ট্রের পুনা শহরে গিয়েছিলেন মুরগি কাটার কাজ করতে। রোজগারও ভালোই হচ্ছিল। মৃত বাবুসোনার ছোটো ভাই চাঁদ বাবু শেখ জানিয়েছেন, দাদার প্রথম থেকেই ইচ্ছে ছিল আরো বড় হওয়ার। গ্রামের পাঁচজন মাথা মাথা লোকের পাশে দাঁড়ানো। মা-বাবার কষ্ট দূর করা। পাশাপাশি বাবু সোনার স্ত্রীর ছয় মাস আগেই একটি কন্যা সন্তান হওয়ায় অর্থের চিন্তা বেড়ে গেছিল। দুমাস আগেই বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করে মহারাষ্ট্রের পুনা শহরে গিয়েছিল মুরগি কাটার কাজ করতে। ওখানেই থাকতো বন্ধুদের সাথে। হঠাৎ করে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই নিখোঁজ হয়ে যায় দাদা। ফোনেও পাওয়া যাচ্ছিল না। ওখানে যারা দাদার সাথে থাকতো তারাও খোঁজাখুঁজি করে পায়নি। শেষে স্থানীয় থানায় যোগাযোগ করলে জানানো হয় দুর্ঘটনার খবর এবং বৃহস্পতিবার রাতেই দাদার বন্ধুরা পুনা শহরের হাসপাতালে মৃতদেহ সনাক্ত করে। আমরা চাই দেহ ফিরে পেতে। অপরদিকে মৃত বাবুসোনার স্ত্রী সেলিনা বিবি জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সকাল নয়টা নাগাদ আমার সাথে শেষ কথা হয় ফোনে। তখন বলেছিল খুব ব্যস্ত রয়েছি এক ঘন্টা পরে ফোন করছি। তারপর আর ফোনে পাওয়া যায়নি। পরে রাতে মৃত্যু খবর আসে। এই ঘটনায় শুক্রবার শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct