আপনজন ডেস্ক: পশ্চিমা বিশ্বের চাইল্ড কেয়ারের আদলে এবার দুবাইয়ে চালু হলো বিশ্বের প্রথম কিশোর কেয়ার সেন্টার। নির্যাতন-অবহেলা-শোষণের শিকার ছেলেদের যত্মে এই উদ্যোগটি নেওয়া হয়েছে। ১৮ বছরের কম বয়সি কিশোরদের সেখানে সেবা দেওয়া হয়। দুবাই ফাউন্ডেশন ফর উইমেন অ্যান্ড চিলড্রেন কর্তৃক উদ্যোগটি নেওয়া হয়। সুবিধাটি আমিরাতি এবং বাসিন্দা উভয়ের জন্যই উন্মুক্ত। খালিজ টাইমস। আশ্রয়স্থলে শোয়ার ঘর, অধ্যয়ন কক্ষ, একটি রান্নাঘর, জিম, প্রার্থনা কক্ষ, বিনোদন এলাকা, থাকার ঘর এবং মানসিক ও সামাজিক সহায়তার জন্য পরামর্শ স্থান রয়েছে। ২০২২ সাল থেকে ফাউন্ডেশন ২০ জনেরও বেশি কিশোর নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল।
আশ্রয়স্থল পরিদর্শনের সময় দুবাই ফাউন্ডেশন ফর উইমেন অ্যান্ড চিলড্রেনের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক শেখা সাঈদ আল মানসুরি বলেন, ‘আশ্রয়স্থলটিতে বর্তমানে ২০ কশোরের ধারণক্ষমতা রয়েছে। এটি সাংস্কৃতিক ও সামাজিকভাবে উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য ১৪ জন পুরুষ কর্মী দ্বারা পরিচালিত হয়। দলে সমাজকর্মী, মনোবিজ্ঞানী, আবাসিক তত্ত্বাবধায়ক এবং সহায়তাকর্মী রয়েছে।’ কর্মীরা কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি কর্তৃক লাইসেন্সপ্রাপ্ত। পাশাপাশি তারা প্রথম দুই বছরে ৪০ ঘণ্টারও বেশি প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে যায়। ভিন্নধর্মী এই উদ্যোগের পর ফাউন্ডেশন কর্তৃক পরিচালিত মোট আশ্রয়স্থলের সংখ্যা তিন থেকে চারটিতে বৃদ্ধি পেয়েছে। শিশুদের কমিউনিটি রিপোর্টের মাধ্যমে অথবা পুলিশ, প্রসিকিউশন, স্কুল বা হাসপাতাল দ্বারা রেফার করা হয়। সব প্রক্রিয়া কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি এবং পাবলিক প্রসিকিউশনের সঙ্গে সমন্বিত হয়। জরুরি ক্ষেত্রে কিশোরদের ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে ভর্তি করা যেতে পারে। এছাড়াও তাদের নিরাপত্তা এবং সুস্থতার ওপর তাৎক্ষণিক অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। প্রতিটি কিশোর শারীরিক, মানসিক, যৌন বা অবহেলার ক্ষতির ধরন শনাক্ত করা হয়। এরপর মূল্যায়নের ওপর ভিত্তি করে একটি সুরক্ষা পরিকল্পনা প্রতিষ্ঠিত হয়। আশ্রয়স্থলটি মানসিক, সামাজিক ও শিক্ষাগত সহায়তা দেয়। এছাড়াও এটি আবাসন, পোশাক, খাদ্য, পরিবহণ, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং আইনি সহায়তা দিয়ে থাকে। এর লক্ষ্য কিশোরদের সুস্থ হয়ে ওঠা এবং স্থিতিশীল ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct