মোঃ মোস্তফা কামাল: চতুর্দিকে ন্যারিটিভের বন্যা, কেউ বলছে মুসলিমমুক্ত বাংলা দেখতে চাই, কেউ বলছে এক ঘন্টা সময় দিলে বিহার ঝাড়খন্ড থেকে লোক এনে ফাঁকা করে দেব। কেউ বলছে বাস থেকে চিনে চিনে নামিয়ে মারবো। কেউ বলছে জেহাদীদের ভোট লাগবে না। কেউ বলছে মুসলিম মাত্রই সন্ত্রাসী। “সুমন বলছে, সন্ত্রাসবাদিদের ধর্ম হয়। যারা বলছেন সন্ত্রাসবাদিদের ধর্ম নেই তারা নির্জলা মিথ্যা কথা বলছেন।” কেউ বলছেন কিসের সেক্যুলার? বিকৃত করে বলছেন, “এক বৃন্তে দুটি কুসুম”, কিসের কুসুম? কেউ বলছে বাংলা ভাগ হয়েছে শুধু হিন্দুদের জন্য। কেউ বলছে মুসলিম মাত্রই দেশদ্রোহী। আবার কেউ বলছে দেশের শত্রুদের আগে জব্দ কর। এর কোন প্রতিকার নেই। কেউ কেউ তো গালি দিয়ে বলছে এরা খিল্লি করছে। এদের জন্মেরই ঠিক নেই, বেজন্মা। সমস্ত কিছু হজম করে বলছি ভারতীয় মেন্সট্রিম মিডিয়া না জানালেও--- যারা কাশ্মীরে ওই সময়ে অবস্থান করছিলেন, তারা কাশ্মীরের মুসলিমদের আতিথিয়তা, সহযোগিতা, আশ্রয় গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দেওয়া, ভালোবাসার কথা হৃদয় দিয়ে তুলে ধরছেন। একজন ঘোড়া চালক তো বাঁচাতে গিয়ে জীবন দিয়েছেন। একজন লড়তে গিয়ে শহীদ হয়েছেন। বিজেপি নেতা বলছে ওই শহীদের বাড়ি গিয়ে কি হবে! আমাদের ভোট বাড়বে!!! আসুন এসব মন্তব্য আমরা পরিহার করি। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের চক্রান্তে না পড়ে, বাংলা ও ভারতের সম্প্রীতি রক্ষা করি।যে ভয়ংকর মেরুকরণ চলছে তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। “বাংলা আমার বচন আমি জন্মেছি এই বঙ্গে” এই ভাষাতেই বলছি। যাদের মুসলিমদের প্রতি খুবই রাগ তারা কি ৩০ কোটি মুসলিমকে ভারত থেকে বের করে দিতে পারবেন, না সবকে শহীদ করে দিতে পারবেন? ফলে মহাকবি ইকবালের মহাবাণী- “মাযহাব নেহি শিখাতা হিন্দুস্থা” একেই হৃদয়ে লালন করি।কারণ, কাজী নজরুল ইসলাম ঠিকই বলেছেন-”এই হৃদয়ের চেয়ে বড় কোন মন্দির কাবা নাই।”
আর সত্যিই সাবধান হন, মুসলিম হয়ে যদি খিল্লি করেন ,তাহলে তিনি অবশ্যই দেশদ্রোহী।ভারত আমার, ভারত আমাদের, আমরা ভারতের নাগরিক, ভারত আমাদের মাতৃভূমি, আবাসভূমি, কবরভূমি,ও জন্মভূমি, এই ভূমির ভালোবাসাই হলো দেশপ্রেম।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct