আপনজন ডেস্ক: কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার জেরে পাকিস্তানের সমর্থনকারী দেশগুলির প্রতি কড়া মনোভাব দেখাল ভারত। পাকিস্তানকে সরাসরি সমর্থনের কথা জনিয়েছিল তুরস্ক। তা ক্ষুব্ধ করে তোলে ভারতকে। এর জেরে দেশের সাতটি বিমানবন্দরে কাজ করা তুরস্কের একটি সংস্থার নিরাপত্তা সংক্রান্ত ছাড়পত্র বাতিল করল ভারত সরকার। এর এখন থেকে দেশের এই সাতটি বিমানবন্দরে আর কাজ করতে পারবে না এই সংস্থা। তাদের জায়গায় অন্য সংস্থাকে দায়িত্ব দিতে হবে। ইতিমধ্যে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার আবহে তুরস্কের ইনোনু বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছিল জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়। তুরস্কের সঙ্গে শিক্ষা সংক্রান্ত চুক্তি বাতিল করে একই পথে হাঁটে দিল্লির জামিয়া মিল্লিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ও।
এবার বিমানবন্দরের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব থেকে তুরস্কের সংস্থাকে সরিয়ে দেওয়া হল। মুম্বই, দিল্লি, কোচিন, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, গোয়া, আমেদাবাদ এবং চেন্নাইতে গ্রাউন্ড অপারেশনসের কাজ করত তুরস্কের সংস্থা সেলেবি এয়ারপোর্ট সার্ভিসেস। তুরস্কের ওই নিরাপত্তা সংস্থার ছাড়পত্র বাতিল করল ব্যুরো অফ সিভিল এভিয়েশন সিকিউরিটি।
বিমানবন্দরে গ্রাউন্ড অপারেশনের কাজে বিভিন্ন সংস্থাকে নিয়োজিত করা হয়। তাদের আলাদা আলাদা দায়িত্ব থাকে। তার সঙ্গে যাত্রী নিরাপত্তার বিষয়টিও সরাসরি জড়িয়ে থাকে।
জানা গিয়েছে, সেলেবি পৃথিবীর ৬ টি দেশের বহু বিমানবন্দরে পরিষেবা দিয়ে থাকে। কর্মীর সংখ্যা বেশ কয়েক হাজার। ভারতেও গত কয়েক বছরে তাদের কাজের পরিধি অনেকটা বেড়েছিল৷ কিন্তু এবার তা বন্ধ হয়ে গেল।
ভারতের বিরুদ্ধে সংঘাতে তুরস্ক ও চিনের তৈরি ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। ইতিমধ্যে সেই সংক্রান্ত প্রমাণও মিলেছে। এই তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই বিভিন্ন সংগঠন নিজেদের মতো করে প্রতিবাদে সামিল হয়ে দেশের সেনাবাহিনীর পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিমানবন্দর বা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও বহু শিল্পগোষ্ঠীও তুরস্কের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আদানি এয়ারপোর্ট হোল্ডিংস তুর্কি কোম্পানি ড্রাগনপ্যাসের সাথে তার চুক্তি বাতিল করেছে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct