আপনজন ডেস্ক: তেহরানের ইরান হাউস অব ইনোভেশন অ্যান্ড টেকনোলজিতে (আইএইচআইটি) ‘ইরানি নারী, অলিখিত গল্প’ শিরোনামে ইরানি নারীদের অর্জনের ওপর একটি প্রদর্শনী শুরু হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইরানের নারী ও পরিবার বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট জাহরা বেহরুজ-আজার নারীর ক্ষমতায়নে বর্তমান প্রশাসনের দৃঢ় সংকল্প তুলে ধরেন। পাশাপাশি নারীদের অর্জিত সাফল্যের বিস্তারিত বর্ণনা করেন।
নারীদের সহায়তার উপর আলোকপাত করে এমন জাতীয় নীতিগত নথির উল্লেখ করে এই কর্মকর্তা বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে দেশটি নারীদের অবস্থা উন্নত করতে পদক্ষেপ নিয়েছে।
নারীদের আয়ু ৭৮ বছরে পৌঁছেছে। প্রায় ৯৫ শতাংশ সন্তান প্রসব বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে হয়। ফলে মাতৃমৃত্যু হ্রাস পেয়েছে। দেশের বিশেষজ্ঞদের ৪০ শতাংশ এবং উপ-বিশেষজ্ঞদের ৩০ শতাংশ নারী চিকিৎসক বলে জানান বেহরুজ-আজার।
শিক্ষাক্ষেত্রে লিঙ্গ বৈষম্য তিন শতাংশে নেমে আসার সাথে সাথে ইরান শিক্ষাগত সমতা বিকাশের ক্ষেত্রে সবচেয়ে সফল দেশগুলির মধ্যে একটি। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ভর্তির ক্ষেত্রে নারীদের ৫৬ শতাংশ অংশগ্রহণ রয়েছে। তারা ৭৮৪টি কারিগরি ও প্রকৌশল বিভাগে অধ্যয়নরত। চিকিৎসা বিজ্ঞান এবং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অনুষদ সদস্যদের মধ্যে নারী যথাক্রমে ৪০ এবং ৩০ শতাংশ।
সামাজিক-সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বর্তমানে সারা দেশে ২৩ হাজার ৫৪৩ জন নারী লেখক, ১ হাজার ৫১ জন প্রকাশক, ৪৩৫ জন মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক এবং ১ লাখ ৮১ হাজারের বেশি নারী বই প্রকাশনার লাইসেন্সধারী রয়েছেন।
এছাড়াও, ২ হাজার ৩৩৬ জন নারী মিডিয়া ম্যানেজার এবং ২০ হাজার ৭৬২ জন নারী প্রকাশক সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সামাজিক ন্যায়বিচার অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন বলে তিনি আরও জানান।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct