পারিজাত মোল্লা, মঙ্গলকোট, আপনজন: আগামী ১৩ মে সারা দেশে চতুর্থ দফার নির্বাচন রয়েছে। এই নির্বাচনে বাংলার ৮ টি লোকসভার আসনের ভোট আছে। বোলপুর লোকসভা যার মধ্যে অন্যতম। বোলপুর লোকসভার অধীনে পড়ছে পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোট - কেতুগ্রাম এবং আউশগ্রাম বিধানসভা গুলি। এই ৩ টি বিধানসভা গত ২০১১ সালের পর থেকে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে। বিরোধী বলতে কোথাও বিজেপি, কোথাও বা সিপিএম সক্রিয়। তবে চলতি লোকসভা নির্বাচন আবহে এইসব এলাকায় সিপিএমের প্রভাব কিছুটা বেড়েছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সম্প্রতি এই লোকসভা কেন্দ্রে সিপিএম প্রার্থী মঙ্গলকোটে নির্বাচনী প্রচারে এসে ‘উজ্জীবিত’ হন এলাকাবাসীদের একাংশের সমর্থন পেয়ে। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে গত শুক্রবার রাজনৈতিক হিংসায় উত্তপ্ত হল মঙ্গলকোটের ঝিলু ২ নং অঞ্চলের বনপাড়া - নপাড়া এলাকা। উত্তপ্ত ঘটনার সাথে সাথেই মঙ্গলকোট থানার পুলিশ অভিযুক্তদের বড় অংশকে গ্রেপ্তার করে কাটোয়া মহকুমা আদালতে এসিজেম এজলাসে পেশ করে।শনিবার এই অশান্তির ঘটনায় ধৃত ৬ জনের মধ্যে ৪ জনের ৬ দিনের পুলিশি হেফাজত হয়েছে। উত্তপ্ত এলাকায় যাতে আর অশান্তি না ঘটে তার জন্য মঙ্গলকোট থানার পুলিশ টহলদারি চালাচ্ছে বলে এলাকা সুত্রে প্রকাশ। গত শুক্রবার বনপাড়ায় তৃণমূল সিপিএমের মারপিটের ঘটনায় কয়েক ঘন্টার মধ্যেই গ্রেফতার হন ৬ জন সিপিআইএম কর্মী।অঅভিযুক্তদের নাম,শেখ হাবিবুর রহমান, শেখ জিয়াবুর রহমান, ফিরোজ শেখ, মনিরুল শেখ ,আজু সেখ, আইনুল শেখ। ধৃতদের সকলেরই বাড়ি বনপাড়া গ্রামে ।শুক্রবার বিকেলে এ বিষয়ে মঙ্গলকোট থানায় লিখিত অভিযোগ করে তৃণমূল কংগ্রেস। ১১ জনের বিরুদ্ধে সশস্ত্রভাবে হামলার অভিযোগ ।মঙ্গলকোট থানার আইসি মধুসূদন ঘোষ জানিয়েছেন -” অশান্তির অভিযোগ পেয়েই আমরা অভিযুক্তদের বড় অংশ কে গ্রেপ্তার করেছি।যাতে নুতন করে অশান্তি না ঘটে তার জন্য আমরা নজরদারি চালাচ্ছি”। স্থানীয় সুত্রে প্রকাশ, গত শুক্রবার সকালে সিপিএম কর্মীদের পতাকা টাঙানো নিয়ে স্থানীয় দুই তৃণমূল কর্মীর সাথে বিবাদ বাদে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct