সজিবুল ইসলাম, ডোমকল, আপনজন: মুর্শিদাবাদের জলঙ্গি ব্লকের সাগরপাড়া থানার সীমান্তবর্তী চর কাকমারী পদ্মা নদীতে ঘড়িয়াল ছাড়া হল সরকারি ভাবে। কুমিরের মত দেখতে এই প্রাণী নদীতে ছাড়াই চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। মুর্শিদাবাদের জলঙ্গী ব্লকের ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী চর কাকমারী সীমান্তের পদ্মা নদীতে সরকারী উদ্যোগে ঘড়িয়াল ছাড়া হল। শনিবার সকালে স্থানীয় প্রশাসন, বিএসএফ আধিকারিক, বিডিওর উপস্থিতিতে ৩৭টি ঘড়িয়াল ছাড়া হয়। ঘড়িয়াল একটি বিলুপ্ত প্রাণী। সংরক্ষণের জন্য পদ্মা নদীতে ছাড়া হল। এদের লম্বা ঠোঁট হয়। পুরুষ ঘড়িয়ালের লম্বা ঠোঁটের আগায় বলের মতন গোলাকার অংশ থাকে, যা ঘড়ার মতন দেখতে হয়,এইজন্য এদের নাম ঘড়িয়াল। এদের প্রজননের সময় শীতকাল। এপ্রিল মাসে মা ঘড়িয়াল নদীর চরে বালির মধ্যে গর্ত করে ডিম পাড়ে। ডিম পাড়ার পর বাঁশার আশেপাশে ডিম পাহারা দেয় মা ঘড়িয়াল। বর্ষার আগে ডিম ফুটে বাচ্চা হয়। এরা সাধারণত মাছ খেতে পছন্দ করে। শীতের সময় নদীর ওপরে উঠে রোদ পোহায়। একটি প্রাপ্ত বয়স্ক ঘড়িয়াল ১০ থেকে ১৮ ফুট লম্বা হয়। এরা সাধারণত হিংস্র প্রাণী নয়। খুব একটা মানুষকে আক্রমন করে না। অবিকল কুমিরের মত দেখতে হওয়ায় অনেকেই কুমির মনে করে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। সীমান্তের অনেক মানুষ নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে। তাই মাছ ধরতে গিয়ে ঘড়িয়ালের হাতে আক্রান্ত হওয়ার ভয় করছে মৎস্যজীবিরা। পাশাপাশি নদীর ধারে চাষ আবাদ করে অনেক চাষী। তাদের মধ্যেও আতঙ্কের ছাপ। যদি উপরে উঠে এসে আক্রমন করে। এই নিয়ে চিন্তায় চাষীরা। সীমান্তের কিছু কিছু মানুষ মনে করছে চোরাচালান রুখতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যাতে ভয়ে কেও নদীতে নামতে না পারে। তাহলে চোরাচালান অনেকটাই কমবে বলে মত কিছু মানুষের।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct