অমরজিৎ সিংহ রায়, বালুরঘাট, আপনজন: শুরু হল কুমারগঞ্জের ধাদলপাড়ায় সতী পীঠের এক পীঠ শ্রী শ্রী বিদ্ধেশ্বরী মাতার পুজা। চলবে আগামী তিনদিন ধরে। এদিন বিদ্ধেশ্বরী মাতার পুজোয় পুরোহীত ছিলেন রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী তথা বিধানসভার পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চ্যাটার্জী। পুণ্য সলীলা আত্রেয়ী নদীর মহা শ্মশানের পাশে অবস্থিত বিদ্যেশ্বরী মাতার পুজোকে ঘিরে ধদলপাড়া এলাকায় বসেছে বিরাট মেলা। বিদ্যেশ্বরী মায়ের মন্দিরের বৈচিত্র ও বেশ রোমহর্ষক। বিরাট বড় ঝাকরা এক অশ্বত্থ গাছ।তার আষ্টে পৃষ্টে বেধে ফেলে গড়ে তোলা হয়েছে এই মন্দির। আর সেই অশ্বত্থ গাছের কোটরেই মায়ের বাস। সেখানেই মায়ের দেবী রুপের সুন্দর মুর্তি পুজিত হয়ে থাকেন। প্রত্যেক বছর মাঘি পুর্নিমার তীথিতে বিন্দেশ্বরী মাতার পুজো অনুষ্ঠিত হয়। এবারে এই পুজো তৃতীয় বর্ষে পদাপর্ন করল।
কথিত আছে দেবী চৌধুরী রানী আরাধ্যাদেবী ছিলেন এই আত্রেয়ী নদীর পারে ধাদল পাড়ায় অবস্থিত বিদ্যেশ্বরী মাতা। ডাকাতি করতে যাওয়ার আগে এখানে পুজো দিয়ে তবেই ডাকাতি করতেন বেড়তেন দেবী চৌধুরানী। এরপাশাপাশি আরো কথিত আছে এই বিদ্যেশ্বরী মাতা সতী ৫১ পিঠের এক পীঠ।সেই বিশ্বাস আর জনশ্রুতির টানেই সুদুর কলকাতা থেকে ছুটে এসে মায়ের পুজোয় আজ সামিল হয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চ্যাটার্জী। পাশাপাশি, এদিন কুমারগঞ্জ ব্লকের অন্তর্গত রামকৃষ্ণপুর এলাকায় একটি মিনি কোল্ড স্টোরেজ ইউনিটেরও শুভ উদ্বোধন করেন তিনি। এদিন মন্ত্রী ছাড়াও বিদ্ধেশ্বরী মাতার পুজো উপলক্ষে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি অম্বরিশ সরকার সহ আরো অনেকে।
পুজো সেরে কলকাতায় ফিরে যাওয়ার আগে বিদ্যুৎ মন্ত্রী শোভনদেব বলেন, তাঁরা বংশগত ভাবে পুরোহিত। অর্থাৎ পূজোর কাজ করে থাকলেও আজকাল আর তেমন পুজা অর্চা করে উঠতে পারেন না। তবে তৃনমুল ভবনের পুজো যেমন করে থাকেন, ‘তেমনী এই মায়ের মহত্মের কথা মাথায় রেখেই বিন্দেশ্বরী মাতার পুজোতে অংশ নিয়েছি।’ তিনি আরো বলেন, তাদের মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন এলাকার উন্নয়নের জন্য সদা স্বচেষ্ট তাই এই অপুর্ব পরিবেশে ও মায়ের মহাত্মা কে ঘিরে উন্নয়ন প্রকল্প যেমন গ্রহণ করা হয়েছে তেমনি এলাকায় যাতায়াতের পরিকাঠামো নতুন ভাবে গড়ে তোলার ব্যাপারে তিনি স্বচেষ্ট হবেন।যাতে এলাকা মানুষের কাছে নতুন রুপে সামনে আসে।’
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct