মোল্লা মুয়াজ ইসলাম, বর্ধমান, আপনজন: পূর্ব বর্ধমান জেলার দক্ষিণ দামোদর এলাকায় ৭ নম্বর রাজ্য সড়ক অর্থাৎ বর্ধমান আরামবাগ রোডের বেশিরভাগ বাজার গুলোতেই ব্যবসায়ীদের দখলে চলে গেছে ফুটপাত। ফুটপাতের উপরেই বিভিন্ন পসরা সাজিয়ে বসছে ব্যবসায়ীরা। ফলে ফুটপাত না থাকার কারণে পথ চলতি মানুষ চরম সমস্যায় পড়ছেন । পথ দুর্ঘটনার জেরে প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত। এই বর্ধমান আরামবাগ রোডের এক ব্যস্ততম বাজার হলো সেহারাবাজার। এই বাজারের ফুটপাত একেবারে নেই বললেই চলে। এখানে রাস্তা ঘেষে একেবারে ফুটপাতের উপরে বিভিন্ন জিনিসপত্রের পসরা সাজিয়ে ব্যবসা করছেন কিছু মানুষ। দোকান যখন একেবারে রাস্তা ঘেঁষে ফুটপাতে তখন খরিদ্দাররাও রাস্তার উপরে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন জিনিসপত্র কেনাকাটা করছেন। এই চিত্র সেহারাবাজারে নতুন নয়। বিশেষ করে প্রতি মঙ্গলবার সেহারা বাজারে হাট বসে এবং সেই হাটে আশেপাশের গ্রাম থেকে প্রচুর মানুষজন আসেন হাট করতে। সেহারাবাজার কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ রা যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করলেও জনবহুল এই বাজারে ফুটপাথ ব্যবসায়ীদের দখলে থাকার কারণে প্রচুর দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে । গত সপ্তাহে সেহারাবাজারে রাস্তা পারাপার করতে গিয়ে গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয় এক যুবকের। দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা সব সময়ই এবং দুর্ঘটনা ঘটেও চলেছে প্রতিনিয়ত, তারপরও টনক নড়েনি ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করা ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি প্রশাসনের। এলাকার মানুষ প্রায়ই সই দাবি জানাই ফুটপাত বেদখল করতে। কিন্তু সেহারাবাজার এর চিত্র বদলায় না, ফলে প্রাণহানির ঘটনা ঘটে একের পর এক। বর্ধমান আরামবাগ রোড অর্থাৎ ৭ নম্বর রাজ্য সড়ক সম্প্রসারণ হবে খুব শীঘ্রই এমনটাই শোনা যাচ্ছে। রাস্তা সম্প্রসারণ হলে দুর্ঘটনা অনেকটাই কমবে কিন্তু তার আগে এই ফুটপাত দখলকারীদের জেরে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে চলেছে, তাই প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে ফুটপাত বেদখল হোক এমনই দাবি এলাকার মানুষদের।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct