নিউজিল্যান্ড দু দু বার বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠেও অধরা চ্যাম্পিয়ন হওয়া। এবারের বিশ্বকাপে তাদের কাছে সুযোগ এলেও অল্পের জন্য হাতছাড়া হয়ে যায়। এর জন্য ফাইনালে ওভার থ্রো থেকে যে রান দিতে হয় সেটাকেই হারের জন্য দায়ী করা হচ্ছে। কিন্তু যেভাবে ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানের বয়সটা লেগে বল ওভার থ্রু হয়ে রান পেয়েছে তা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
লর্ডসে ইংল্যান্ড ও যদিও নিউজিল্যান্ডের বিশ্বকাপ ফাইনালের শেষ ওভারে বিতর্কিত ওভারথ্রো নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে নারাজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল। নাটকে ভরা এই ম্যাচে ডিপ মিড উইকেট থেকে একটি থ্রো বেন স্টোকসের ব্যাটে লেগে বাউন্ডারি হয়, তাতে ৬ রান যোগ হয় ইংল্যান্ডের। ফলে ম্যাচ তাই হয়ে যায় অনেক কষ্টে। তার পর এক ওভারের খেলায় ইংল্যান্ড জিতে যায়।
অথচ ওভারথ্রু নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। আইসিসির নীতিমালার ধারা ১৯.৮ অনুযায়ী, ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় রানটি হয়নি। তাতে ওই বলে ছয় নয়, পাঁচ রান যুক্ত হওয়ার কথা। আর শেষ দুই বলে দরকার হতো চার রান, স্ট্রাইকে থাকার কথা আদিল রশিদের। আইনে বলা আছে, ওভারথ্রোর পর বাউন্ডারির ক্ষেত্রে ফিল্ডারের বল ছোড়ার মুহূর্তে দুই ব্যাটসম্যান পরস্পরকে অতিক্রম করতে হবে, তাহলেই দৌড়ে নেওয়া রানটি যুক্ত হবে। কিন্তু টিভি রিপ্লেতে দেখা গেছে, মার্টিন গাপটিল বল ছোড়ার মুহূর্তে স্টোকস ও রশিদ পরস্পরকে অতিক্রম করেনি। কিন্তু অনফিল্ড আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা স্কয়ার লেগের আম্পায়ার মারাইস এরাসমুসের সঙ্গে আলোচনা করে ছয় রানের সঙ্কেত দেন। আর এই সিদ্ধান্তই ইংল্যান্ডকে বাঁচিয়ে দেয়, শেষ তিন বলে যেখানে ৯ রান তাদের দরকার হতো সেখানে শেষ দুই বলে লক্ষ্য দাঁড়ায় মাত্র ৩ রানের।
এনিয়ে আইসিসি কোনো মন্তব্য করতে চায়নি। তবে এই ওভারথ্রো থেকে ছয় রান দেওয়া আম্পায়ারদের জন্য বড় ভুল সিদ্ধান্ত ছিল মন্তব্য করেন প্রাক্তন পাঁচবারের বর্ষসেরা আম্পায়ার সাইমন টফেল।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct