চন্দনা বন্দ্যোপাধ্যায়, কাকদ্বীপ, আপনজন: আবার সুন্দরবনের মানুষের কাছে তিন বছর আগের সময় ফিরে আসছে।চিন্তায় সুন্দরবন বাসীরা।তবে তৎপর জেলা প্রশাসন।তিন বছর আগে এমনই এক ২৬ শে মের ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছিল সুন্দরবনের ঘোড়ামারা দ্বীপ, মৌসুনি দ্বীপ, গোবর্ধনপুর, সাগর, নামখানা, পাথরপ্রতিমা, রায়দীঘি,গোসাবা সহ বহু এলাকা। আর এ বার চোখ রাঙাছে ঘূর্ণিঝড় রিমাল। সুন্দরবনের উপকূলে কি ফের আছড়ে পড়তে চলেছে প্রকৃতির রোষ, চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। সেই সঙ্গে ঘুরপাক খাচ্ছে নানা জল্পনা।আর এ সবের মধ্যে রবি ও সোমবার দু’দিনই দুই ২৪ পরগনায় জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। কলকাতা সহ চার জেলায় কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে।আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২৫ শে মে বঙ্গোপসাগরে অতি গভীর নিম্নচাপ তৈরি হবে। ২৬ মে সকালে তা পরিণত হবে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় রিমালে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া বিজ্ঞানমন্ত্রক সূত্রের খবর,এই ঘূর্ণিঝড়টি পশ্চিমবঙ্গ, বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী উপকূল এলাকায় রবিবার মধ্যরাতে ১০০ কিলোমিটারের বেশি গতিবেগে আছড়ে পড়তে চলেছে। বৃহস্পতি বার বিকেলের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের মৎস্যজীবীদের স্থলভাগে ফিরে এসেছে। পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় রিমালের প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। জেলায় অতিরিক্ত বজ্রপাতের সতর্কতাও জারি করা হয়েছে।তবে এই ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। শুক্রবার জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর তিনটি দল পৌঁছে গেছে জেলায়। খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম।কাকদ্বীপ মহকুমা শাসকের দপ্তরে শনিবার ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়ে বিডিও ও বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিক ও পুলিশ সুপারকে নিয়ে জরুরি বৈঠক করেছেন জেলা শাসক সুমিত গুপ্তা। শনিবার বিকালে প্রতিটি ব্লকের সর্বশেষ পরিস্থিতির খোঁজ-খবর নেন তিনি কাকদ্বীপ থেকে।মৎস্যজীবী সংগঠনগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে।জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলার তিনটি বাহিনী রয়েছে কাকদ্বীপ, সাগর এবং গোসাবায়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct