নাজিম আক্তার, হরিশ্চন্দ্রপুর, আপনজন: কথায় বলে ‘নদীর তীরে বাস বিপদ বারো মাস’।বর্ষা শুরু হতেই হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকের ফুলহার নদী তীরবর্তী অঞ্চল এর দক্ষিণ তীরে ব্যাপক হারে ভাঙন শুরু হয়েছে।নদী ভাঙনের ফলে ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কাউয়াডোল,রশিদপুর, উত্তর ভাকুড়িয়া,দক্ষিণ ভাকুরীয়া, মিরপাড়া,তাঁতিপাড়া,চাঁদপুর,ইসলামপুর,চন্ডিপুর,খোঁপাকাঠি ও পেঁয়াজখালি সহ একাধিক গ্রাম জলের তলায় তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় ভুগছেন।এমনকি নদী ক্রমশ জনবসতীর কাছে চলে এসেছে।এই নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছেএলাকায়।ইতিমধ্যে নদীর তীরবর্তী অঞ্চলের গ্রামগুলিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার বেশ কতগুলি পোল ভাঙনের প্রভাবে নদীর খুব কাছে চলে এসেছে।এক থেকে দু দিনের মধ্যেই বিদ্যুৎ সরবরাহ করার খুঁটি গুলি নদী গর্ভে তলিয়ে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ভাঙন দুর্গত এলাকার বাসিন্দারা। ভাঙনের এই চেহারা দেখে এলাকার কৃষকেরা নদী তীরবর্তী অঞ্চলে চাষ করা পাট অপরিণত অবস্থাতেই কেটে নিচ্ছে।খুলে নেওয়া হচ্ছে অস্থায়ীভাবে তৈরি করা কাঁচা বাড়িগুলি।এইভাবে ভাঙন চলতে থাকলে অচিরেই ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বেশ কয়েকটি গ্রাম নদীগর্ভে চলে যেতে পারে। রশিদপুর গ্রামের এক বাসিন্দা সেখ আলম জানান,নদী ভাঙন এলাকা থেকে তাদের বাড়ি ১০০ মিটার দূরত্বে রয়েছে। আতঙ্কে তারা রাতে ঘুমাতে পারছেন না। চাষযোগ্য জমি জলের তলায় তলিয়ে গেছে। প্রশাসনকে বারবার জানিয়েও হয়নি কোনো ব্যবস্থা।সেখ সাজু নামে এক বাসিন্দা জানান, নদী ভাঙনের ফলে শতশত একর জমি নদীগর্ভে চলে গেছে। এলাকা বিদুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।আতঙ্কে কাটাচ্ছেন এলাকার মানুষ।প্রশাসন ভাঙন রোধের জন্য কোন ব্যবস্থা না করলে নদী তীরবর্তী গ্রামগুলি নদীর গর্ভে চলে যাবে। হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকের বিডিও বিজয় গিরি জানান,নদী ভাঙনের খবর পেয়েছেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct