আপনজন ডেস্ক: স্পিন-সহায়ক কন্ডিশনে খেলে ভারতের ‘মেকি আত্মবিশ্বাস’ তৈরি হচ্ছে বলে মনে করেন সাবেক স্পিনার হরভজন সিং। ওভালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে হারের পর ভারতের সমালোচনায় এমন বলেন তিনি। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের আগে ভারত সবশেষ সিরিজ খেলেছিল দেশের মাটিতে, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেই বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে। ২-১ ব্যবধানে সে সিরিজ জিতেছিল ভারত। সিরিজের চতুর্থ ও শেষ টেস্টটি ড্র হওয়ার আগে যে তিনটি টেস্টে ফল এসেছিল, তিনটিই শেষ হয়েছিল তিন দিনের মধ্যেই।স্বাভাবিকভাবেই ভারতের মাটির ওই সিরিজে দাপট ছিল স্পিনারদের। সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি তিনজনই ছিলেন স্পিনার—রবিচন্দ্রন অশ্বিন (২৫), রবীন্দ্র জাদেজা (২২) ও নাথান লায়ন (২২)। তবে এমন পিচে খেলাটা ভারতের জন্য মোটেও সহায়ক নয়, এমন মনে করেন হরভজন। ফাইনালের পর স্টার স্পোর্টসে ভারতের হয়ে ১০৩টি টেস্ট খেলা এ অফ স্পিনার বলেন, ‘যেসব বাজে পিচে প্রথম বল থেকেই বল ঘোরা শুরু করে, সেখানে খেলে ও ম্যাচ জিতে নিজের মেকি আত্মবিশ্বাস তৈরি করতে পারেন না। আপনাকে পাঁচ দিন ধরে কঠোর পরিশ্রমের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। তাহলেই শুধু এমন বড় ম্যাচের জন্য আরও ভালো প্রস্তুতি নিতে পারবেন। ’টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের এ চক্রে দেশের বাইরে ভারত খেলেছে তিনটি সিরিজ—ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশের বিপক্ষে। বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজটি জিতলেও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুই দফায় হওয়া সিরিজটি ২-২ ব্যবধানে ড্র হয়, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ভারত হারে ২-১ ব্যবধানে। হরভজন বলছেন, স্পিন-সহায়ক কন্ডিশনে খেলার কারণে পেসারদেরও যথেষ্ট প্রস্তুতি হচ্ছে না, ‘এমন পিচে ফাস্ট বোলাররা তেমন বোলিংয়ের সুযোগ পায় না, প্রথম ওভার থেকেই স্পিনারদের আনা হয়। এখানে আসলে অনেক দিকেই নজর দেওয়ার আছে। ’এদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো দলের বিপক্ষে সিরিজ জয়েও কিছু যায় আসবে না, এমন বলেছেন সাবেক অধিনায়ক সুনীল গাভাস্কার, ‘“হ্যাঁ, আমাদের ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ আছে”, এমন বলে এটিকে পাশ কাটিয়ে চলে যেতে পারবেন না। ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্বের সেরা দল নয়। তাদেরকে গিয়ে আপনি ২-০, ৩-০-তে হারিয়ে দেবেন। এর কোনো অর্থই নেই। কারণ, আপনি যদি আবার ফাইনালে গিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলে একই ভুল করেন। তাহলে আপনি শিরোপা জিতবেন কীভাবে?’
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct