মোহাম্মদ সানাউল্লা, লোহাপুর, আপনজন: দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে কেবল একটি স্কুল থেকে ৬ জন শিক্ষকের চাকুরি যাওয়ায় হতাশ অভিভাবকেরা। তার উপর আবার ঘরের গৃহ কর্তাই নেই। যিনি ছিলেন স্কুলের অভিভাবক তথা টিচার ইনচার্জ। সুপ্রিম রায়ে চাকরি চলে গিয়েছে। ফলে অসহায় হয়ে পড়েছে স্কুল পড়ুয়া থেকে অভিভাবকেরা। অসহায় হয়ে পড়েছেন গ্রামবাসীরা। কারণ সুপ্রিম রায়ে গ্রামের স্কুল থেকে এতগুলো শিক্ষক চলে গেলে স্কুলটি চলবে কিভাবে। সেটাই জানতে মঙ্গলবার দুপুরে নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের ভগলদিঘী গ্রামবাসী সহ অভিভাবকরা স্কুলে গিয়ে শিক্ষকদের কাছে খোঁজখবর নেন। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের নির্দেশে এই ভগলদিঘী হাই স্কুলের ৫ জন শিক্ষক এবং ১ জন অশিক্ষক কর্মী সহ মোট ৬ জন স্কুলে আসা ছেড়েই দিয়েছেন। যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে চাকরি-হারা শিক্ষকদের ভলেন্টিয়ার হিসেবে স্কুলে যাওয়ার কথা বলেছেন। তবুও কিন্তু বাতিলের তালিকায় থাকা শিক্ষকরা মঙ্গলবারের দিন স্কুলে যোগ দেননি। ফলে বিপাকে পড়েছেন স্কুল পড়ুয়া থেকে শুরু করে অভিভাবক ও গ্রামবাসীরা। ওই শিক্ষকেরা বাতিল কিনা যদিও জেলা বা রাজ্য থেকে সেই নির্দেশও আসেনি। এই দ্বিধাদন্তে দোটানার মধ্যে কি হবে স্কুলের ভবিষ্যৎ। সেই নিয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন অভিভাবক সহ গ্রামবাসীরা। কারণ স্কুলটিতে বর্তমানে ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা ২ হাজার ২০০ জন। সেখানে মোট শিক্ষক ছিলেন ১৫ জন। তার মধ্যে পাঁচ জন শিক্ষক এবং একজন অশিক্ষক কর্মীর চাকুরী গিয়েছে । এখন এই ৬ জন বেরিয়ে যাওয়ার পর ২ হাজারের অধিক ছেলে মেয়েদের পড়াচ্ছেন মাত্র ১০ জন শিক্ষক শিক্ষিকা। যেখানে পড়ুয়া সংখ্যাানুপাতে শিক্ষক প্রয়োজন ৩৩ জন। এমন টানা পোড়নে স্কুল চলবে কি ভাবে। ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ কি হবে। সেই চিন্তায় কিন্তু ঘুম গিয়েছে অভিভাবকদের। তবে এদিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় আগামী বুধবার টিচার ইনচার্জ তৈরি করা হবে বলে স্কুল পরিচালন কমিটির তরফে জানিয়েছেন।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct